♦নারীদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ একেকটি তীর্থক্ষেত্র♦
কি অবাক হলেন?
👉আসুন এর ব্যাখ্যা জেনে নিই।
স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের “স্ত্রীজাতিতে মাতৃভাব” গ্রন্থটি হতে।
কি লিখেছেন উনি ঐ গ্রন্থে?
আসুন জানা যাক
👉দেবী সতীর দেহ ৫১ ভাগ হয়ে যে ৫১ স্থানে পতিত হয়েছিল সেই ৫১ স্থানে ৫১ টি তীর্থক্ষেত্র গড়ে উঠেছে। ঠোঁট, কান, নাক, হাত, পা, নিতম্ব, যোনী, চক্ষু, স্তন, ঊরু, গ্রীবা ইত্যাদি প্রত্যেকটি অঙ্গই একেকটি তীর্থক্ষেত্র। এই অংশগুলো যে যে স্থানে পতিত হয়েছে সেই প্রত্যেকটি স্থানেই একজন দেবী প্রতিষ্ঠিত।
যেমনঃ
☘️চক্ষু যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “মহিষ-মর্দিনী
☘️ নাক যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “সুনন্দা”,
☘️ কর্ণ যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “জয়দুর্গা”,
☘️ ঠোঁট যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “ফুল্লরা” ☘️ জিহবা যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “সিদ্ধিদা”,
☘️যোনী যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “কামাখ্যা”,
☘️ কেশ যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “উমা”,
☘️বামবাহু যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “বহুলা”,
☘️ ডানবাহু যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “ভবানী”,
☘️বাম স্তন যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “শিবানী”,
☘️ডান স্তন যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “ত্রিপুর মালিনী”,
☘️উদর যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “চন্দ্রভাগা”,
☘️নাভী যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে দেবী “বিমলা”।
এমন করে ৫১ দেহাংশ যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে ৫১ টি সতীপীঠ তথা তীর্থক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ, দেবী সতীর প্রত্যেকটি দেহাংশ একজন পূর্ণ দেবীর সমান। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকটি দেহাংশ একটি তীর্থক্ষেত্রে।
এবার ভাবুন,
👉দেবী সতী আর আপনার জননীর মাঝে কোনো পার্থক্য আছে কি?
👉দেবী সতী আর আপনার ভগিনীর মাঝে কোনো পার্থক্য আছে কি?
👉দেবী সতী আর আপনার আশেপাশে যত নারী আছে তাদের মাঝে কোনো পার্থক্য আছে কি?
👇না, কোনো পার্থক্য নেই।
দেবী সতীর দেহ যে পদার্থ দিয়ে তৈরি, জগতের সকল নারীর দেহও সেভাবে সেই পদার্থ দিয়েই তৈরি। তাহলে যদি দেবীর সতীর এ