নারীর যেকোনো প্রকার দেহ সৌন্দর্য প্রদর্শনের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু অপরকে দেখানোই। কিন্তু আমরা তা স্বীকার করিনা, আমরা বলি – আমরা নিজের জন্য সাজি। আমাদের এসব ভং ভনিতার বাইরে এসে যখন আমরা নিজের প্রতিবিম্বের সামনে দাঁড়াই, একথা আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান, চুলে, মুখে, গায়ে রং লাগানো, গা হাতে কানে অলংকার জড়ানো – এইসবই অন্যকে দেখানোর উদ্দেশ্যেই। অন্যকে দেখিয়ে যে সুখ, তাতেই আমাদের তৃপ্তি হয়।
তাই নিজের জন্য সাজি – একথা একদিকে অবশ্য সত্যই, অন্যকে দেখিয়ে যে আত্মতৃপ্তি তাতেই আমরা সুখী হোই। এছাড়া অন্যকে আকর্ষণ, অন্যকে জ্বালানোর উদ্দেশ্যও থাকে আমাদের। নারীদের সাজ ও পোশাক বৈচিত্র্যের কারণে অন্যকে জ্বালানো এবং নিজে জ্বলার বিষয়টি একচ্ছত্রভাবে তাদের দখলে। এই জায়গায় পুরুষের এখনো খুব বেশি অধিগ্রহন ক্ষমতা হয়নি।
এবার যদি আসি পরস্পরকে আকর্ষণ করার ইচ্ছে থেকে সাজগোজের প্রবণতা প্রসঙ্গে তাহলে বলবো এই আকর্ষণ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি বেশি কাজ করে। আমি আমার নারী বান্ধবীকে আমার দিকে আকর্ষিত করার জন্য সাজি না, আমার পুরুষ বন্ধুকে আকর্ষণ করতেই সাজগোছ করি। তবে আপনি সমকামী হলে সেক্ষেত্রে অন্য আলোচনা। মোটকথা আমরা যত সাজগোছ করি তা পুরুষ আকর্ষণের তাগিদে, এবং এখানে সবচেয়ে বড় সত্যি হোলো কেউই তার বাঁধা পুরুষটি কিংবা স্বামীকে আকর্ষণ করতে সাজগোছ করে না, পোশাক আশাক পরে বাইরে যায়না। যদি তাই হোতো, সব নারী তার সর্বোচ্চ প্রসাধনী বিয়ে বাড়ি কিংবা পাবলিক অনুষ্ঠানে না সেজে নিজের বেডরুমে যাওয়ার জন্য সাজতো। পার্লার থেকে সেজেগুজে সোজা বেডরুমে গিয়ে ক্যাটওয়াক করে করে বরকে দেখাতো। যাই হোক, মূল ঘটনা তো তা নয়!
তো এই যে অন্য পুরুষকে আকর্ষণ করানোর এর প্রবণতা, ঠিক এই কাজটিই একজন পতিতা করেন। তফাত হোলো তিনি পেটের দায়ে অর্থের বিনিময়ে খদ্দের আকর্ষণ করেন, আপনার কিংবা আমি হয়তো অর্থের বিনিময়ে করিনা। তবে একজন পতিতা এবং একজন সাধারণ নারী উভয়েরই মনস্তত্ত্ব প্রায় একই এবং উভয়ই পুরুষের লালসার শিকার হয়। পতিতা স্বইচ্ছায় পুরুষের দৌহিক চাহিদা মেটান অর্থ উপার্জনের দায়ে, আর একজন সাধারণ নারী পুরুষের কামুক দৃষ্টিতে ধর্ষণের শিকার হন। আপনার, আমার বগল কাটা ব্লাউজ দেখানো ছবি, অর্ধেক দুদু বের করা পোর্টেট পোস্ট করে যতই এসথেটিক মারাই না কেন, এমন বহু পুরুষ এই ছবি নিজেদের গ্যালারীতে রেখে পরে সময় সুযোগ মত মুড আসলে পরে দেখে দেখে হাত মারে। রাতের ডিমলাইটের আলোতে বউয়ের সাথে সঙ্গমের সময় আপনার আমার মুখ কল্পনা করে।এখন নিশ্চয় ভাবছেন আপনার স্বামী, বাপ,ভাই এসব করে না। দুনিয়ার বেবাক পুরুষ খ্রাপ শুধু আপনার জামাই, বাপ আর ভাইডিই ভালো! বিশ্বাস করেন আমাকে। আপনার বাপও করে।
তাহলে আপনার আমার সাথে যখন একজন পতিতার, একজন বেশ্যার একজন দেহপ্রসারিনীর একজন খানকি মাগীর বেসিক কোনো পার্থক্যই নাই, তাহলে আপনি অন্য নারীকে বেশ্যা গালাগাল দেন কেন? কেনই বা পতিতাকে আপনি হেয় প্রতিপন্ন করেন? আর কত প্রমাণ দিলে আমরা বুঝতে শিখবো যে পতিতা আমাদের চেয়ে ভিন্ন নয়। আর কত প্রমাণ দেবো? এখনো তো স্বামীর ঘরের নানা এঙ্গেল থেকে চোদা খাওয়া আপনার আমার পতিতা রূপটি নিয়ে লিখিও নাই, আর কত লিখবো বলেন!?