নাস্তিকরা এত এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ঈশ্বর বিশ্বাস করে না কেন?
.
প্রমাণ থাকলে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্নই আসে না। বিশ্বাসের প্রয়োজন হয় তখনই যখন প্রমাণের অপ্রতুলতা থাকে। আমরা বিশ্বাস করি না যে, জো বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কারণ এখানে বিশ্বাসের কিছু নেই। অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি না যে, সূর্য আছে। বা পৃথিবী গোলাকার। এসব কোনো বিশ্বাসের ব্যাপার নয়। পরীক্ষানিরীক্ষা করে প্রাপ্ত ফলাফল। বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল নয়। যে কেউ পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করে ভুত আছে, কেউ তা বিশ্বাস করে না। কেউ বিশ্বাস করে জ্বীন আছে, কেউ তা করে না। কারও বিশ্বাস অবিশ্বাসে কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকা না থাকা নির্ভরশীল নয়।
শেওড়া গাছের পেত্নী এবং আল্লাহ ভগবান ঈশ্বর যীশু কালী শিব জিউস এরকম হাজার হাজার দেবদেবী ঈশ্বরের সপক্ষে কোন প্রমাণ হাজির করা হয় নি। প্রমাণ হিসেবে দেখানো হয় এই মহাবিশ্বকে, বা কোন কথিত আসমানি কেতাবকে। যা সেগুলোর অস্তিত্ব প্রমাণ করে না। ঈশ্বরকে যেহেতু বিশ্বাস করতে হয়, তার অর্থ হচ্ছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে যেসমস্ত যুক্তিপ্রমাণ উত্থাপন করা হয় তা অপ্রতুল।
পৃথিবীর সকলেই যদি শেওড়া গাছের পেত্নীতে বিশ্বাস করে, তাতে শেওড়া গাছের পেত্নী প্রমাণিত হয় না। বা পৃথিবীর ফুলফল লতাপাতা গাছপালাও শেওড়া গাছের অস্তিত্বের প্রমাণ হতে পারে না। শেওড়া গাছও শেওড়া গাছের পেত্নীর অস্তিত্ত্বের সপক্ষে প্রমাণ হতে পারে না।