পশ্চিমারা মানবদেহে শুকরের হৃৎপিন্ড প্রতিস্থাপন করেছেন।

Uncategorized
পশ্চিমারা মানবদেহে শুকরের হৃৎপিন্ড প্রতিস্থাপন করেছেন। এবং কয়েকদিন হয়ে গেলো, সেই রোগী সুস্থ ও স্বাভাবিকও আছেন।
আমাদের এই অঞ্চলের আকাইম্মা ধর্মগুরুগণ, প্রাথমিক অবস্থায় এই ঘটনাটিকে অবশ্যই মেনে নিতে পারবেন না। এবং এই ঘটনাটিকে ধর্মগ্রন্থ বিরোধী হিসেবেও আখ্যা দিবেন। তারপরে কয়েক বছর বাদে নিজের জন্য বা নিজের পরিবার স্বজনের জন্য যখন এমন একটি অপারেশনের প্রয়োজন হবে, তখন চুপচাপ সেটি করেও ফেলবেন। 
এভাবে আমাদের এই অঞ্চলে প্যান্ট শার্ট পরা, স্কুল কলেজে যাওয়া, ইংরেজি শেখা, ছবি তোলা, টিভি দেখা ইত্যাদি ইত্যাদি কার্যক্রমেও ধর্মগুরুদের প্রবল বিরোধিতা ছিল। এমনকি সর্বশেষ মায়ের বুকের দুধ সংরক্ষনে মিল্কব্যাংক বিষয়েও এরা বিরোধিতার সূত্র পেয়ে গিয়েছিল। বিরোধিতা করা ছাড়া সমাজে  এদের কোন কার্যক্রমই নেই। শিশু কিশোরদের ব্রেন ওয়াশ করে মধ্যযুগের  আদিম ও বর্বর চিন্তাভাবনায় ধরে রেখে প্রজন্মের পরে প্রজন্ম ধরে এই অঞ্চলের মানুষের প্রতিভা আর জ্ঞান বিজ্ঞানের বিকাশকে এরা বাধাগ্রস্থ করে রেখেছে। ফলে এই অঞ্চলে বেশিরভাগ শ্রমিক ও লেবার শ্রেনীর মানুষই পেয়েছে যুগের পরে যুগ। দু চারজন সৃজনশীল ও প্রজ্ঞাবান মানুষের জন্ম হলেও কদর হয়নি ও তাদের যোগ্য মর্যাদা না দেয়ায় একটা উত্তম মানুষ গঠনের পরিবেশ ও তৈরী হয়নি।
আকাইম্মা ধর্মগুরুগণ শব্দটি ব্যবহারে হয়তো অনেকের আপত্তি থাকবে। কিন্তু বাস্তবে একজন কৃষক, শ্রমিক, রাজমিস্ত্রী, পিওন এমনকি একজন বেশ্যারও রাষ্ট্রব্যবস্থায়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিকাশে ভূমিকা থাকে। কিন্তু ধর্মগুরুদের ভূমিকা শুধু ভোক্তা হিসেবেই বিরাজিত। এরা অন্যের কামাই খায়, অন্যের উপর জীবিকা নির্বাহ করে। অনেকটা আগাছা বা পরজীবীদের মত। এদের থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রের কোন অর্থনৈতিক ও উৎপাদনমুখী প্রাপ্তি নেই। এরা শুধুই ভোক্তা আর বাধাঁ বিপত্তিরই উদ্ভাবক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *