প্রথমেই বলে রাখি আইন সম্পর্কে আমার তেমন ধারনা নেই!!!
কিন্তু গত দুই দিনের আবহে ও তর্ক-বিতর্ক থেকে যা বুঝলাম তা হল খুব শীঘ্রই আমাদের একটি সমাধানে আসতে হবে। পিতার সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে দুপক্ষেরই ছাড় দেওয়ার মানসিকাতা থাকতে হবে।
আবার হুট করে বড় ধরনের পরিবর্তন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে।
তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এটা আমার প্রস্তাবঃ
১/ পিতার সম্পত্তিতে পুত্র যা পাবে কন্যা তার অর্ধেক পাবে। কন্যা ২ বিঘা সম্পত্তি পেলে পুত্র ৪ বিঘা পাবে। কন্যা বসতভিটার ফাঁকা অংশ ও কৃষি জমি থেকে ভাগ পাবে। পুত্রের অংশের মধ্যে অবশ্যই বাড়ি থাকবে।
২/ কোন পুত্র সন্তান না থাকলে কন্যা সমুদ্বয় সম্পত্তির অধিকারী হবে।
৩/ আবার মাতার সম্পত্তির ক্ষেত্রেও একই ভাবে কন্যা ও পুত্রের মধ্যে বণ্টিত হবে। তবে এক্ষেত্রে বাড়ি সহ সকল সম্পত্তিরই ভাগ হবে।
৪/ পুত্র সকল দায়-দায়িত্ত্ব পালনে বাধ্য থাকিবে।
অপরদিক কন্যা সক্ষম হলে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণে সহায়তা করবেন।
৫/ সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নিকট আত্মীয়দের মধ্যে বিক্রয় করতে হবে।
যদি নিকট আত্মীয়দের মধ্যে থেকে কোন ক্রেতা পাওয়া না যায় তবে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সাথে আলোচনা করে তৃতীয় পক্ষের নিকট বিক্রয় করতে পারবে।
৬/ স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী তার স্বামীর সমুদ্বয় সম্পত্তির ভোগ-দখল করবে, সন্তানরা প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত।
সন্তানদের চিকিৎসা, বিয়ে, ব্যবসা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কারন দেখিয়ে কোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে স্বামীর অংশের সর্বোচ্চ শতকরা ২০ ভাগ জমি বিক্রয় করতে পারবে। তবে হ্যাঁ সন্তানরা প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তিনি তা পারবেন না। কারন তখন সন্তানরা সেই সম্পত্তির অধিকারী
৭/ যদি স্বামীর মৃত্যু হয় এবং কোন সন্তান না থাকে তবে সমুদ্বয় সম্পত্তির অধিকার স্ত্রী পাবে। এক্ষেত্রেও জমি বিক্রয়ের প্রয়োজন হলে নির্দিষ্ট কারন দেখিয়ে কোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে বিক্রয় করতে পারবেন। তাকে অবশ্যই স্বামীর পরিবারে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ইচ্ছা করলে তিনি সন্তান (স্বধর্মীয়) দত্তক নিতে পারেন।
যদি বিধবা নারী আবার বিয়ে করে তবে মৃত স্বামীর সম্পত্তির অধিকার পাবে না।
৮/ নিঃসন্তান দম্পতির মৃত্যুর পর তাদের সমুদ্বয় সম্পত্তির মালিক হবে স্বামীর ভাই বা ভাতিজা/ভাস্তি, ভাই না থাকলে বোন বা ভাগ্নে/ভাগ্নি।
আবার স্বামীর যদি কোন ভাই-বোন না থাকে তবে স্ত্রীর ভাই বা ভাতিজা/ভাস্তি, ভাই না থাকলে স্ত্রীর বোন বা ভাগ্নে/ভাগ্নি।
যদি তারা সন্তান দত্তক নিয়ে থাকে তবে দত্তক সন্তানই তাদের সকল সম্পত্তির অধিকারী হবে।
৯/ ডিভোর্সের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কারন আইনে উল্লেখ থাকতে হবে। শুধুমাত্র আইনে উল্লেখিত কারনেই ডিভোর্স দেওয়া যাবে।
তবে যেকোন ধরনের মনোমালিন্য হলে দুই জনে পৃথক থাকতে পারবে। এক্ষেত্রে স্বামীকে স্ত্রীর ভরণ-পোষণের সকল খরচ বহন করতে হবে । এভাবে সর্বনিম্ন ২ বছর, সর্বোচ্চ আমৃত্যু পর্যন্ত পৃথক থাকতে পারবে। তবে ২ বছর পৃথক থাকার পর ইচ্ছা করলে যেকোন পক্ষ ডিভোর্স দিতে পারবে।
১০/ নারী এবং পুরুষ উভয়ের ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ধর্মান্তর হলে উত্তরাধিকারী বাতিল হবে।
বিদ্রঃ আমি কোন আইনজ্ঞ নয়।