আজকাল দেখি অনেক হিন্দু মেয়ে বোরখা পরে, হিজাব পরে,, আবার বোরখা হিজাব পরে নিজের ওয়ালে ক্যাপশন লেখে পোষ্টও করে,,
আপনি যদি বলেন যে আপনি তো হিন্দু মেয়ে বোরখা কেনো পরেন।
তখন আপনি উত্তর পাবেন সনাতন ধর্মে কোথাই লেখা আছে যে বোরখা পরা যাবে না,,আমি বোরখা পরেছি তাতে আপনার কি,,আমি কি পড়বো না পড়বো তা কি আপনি ঠিক করে দিবেন,, ঠিক এমনটাই উত্তর আপনি পাবেন,,
কিন্তু এর ব্যতিক্রম কি কখনো দেখেছেন, যেমন ধরেণ মুসলিম মেয়েরা শখ করে হাতে শাঁখা সিঁথিতে সিঁদুর পড়েছে, দেখেছেন কি আপনি, দেখেন নি তো কারণ তাদের ধর্মে ওই গুলো হারাম, তাই তারা ওই গুলো পরেনা,, কিন্ত হাজারো হিন্দু মেয়ে বোরখা পরে,,
একদিন আমাকে এক দাদা বলে একটা মেয়ে বোরখা পরে বাড়ি নেত্রকোনা,, আমাকে তার বাবার ফোন নাম্বার দিয়ে বলে দাদা আপনি একটু তার বাবার সাথে কথা বলেন,, যে তার মেয়ে বোরখা পরে,, কেনো বোরখা পরে একটু শুনেন তো,,
আমি মেয়েটার বাবা কে কল করি এবং নমস্কার দিয়ে ভালো মন্দ কথা বলতে বলতে,, জিগ্যেস করি কাকু আপনের মেয়ে যে বোরখা পরে তা কি আপনেরা জানেন,,মেয়ের বাবা বলে হ্যাঁ জানি কেনো,, আমি বল্লাম বোরখা তো হিন্দুদের পোশাক নয় আর তাছাড়া কেনো বোরখা পরে যদি বলতেন,,
মেয়ের বাবা আমাকে বল্লো ওর ভালো লাগে ও পরে তাতে তোমাদের কোনো সমস্যা, আর কোনো কারণ নাই, বোরখা পরলে মেয়েরা নিরাপদে থাকে,,
আমি বুঝতে পাড়ছি লোকটা আমার উপরে রাগ করে কথা বলছে,, এমন সময় মেয়ের মা ওই পাশ থেকে বলে উঠলো কোথা কার পন্ডিতের বাচ্ছা আইছে জ্ঞ্যান দিতে দেখি আমাকে দেও আমি কথা বলি।
এর পর মেয়ের মা আমার সাথে কথা বলে তার মেয়ে কি পরবে না পরবে সেইটা কি আমরা ঠিক করে দিব,
আমাকে বলে তুমি তোমার নিজের পরিবার দেখো আমাদের না দেখলেও চলবে,,
আমি বল্লাম কাকিমা রাগ করছেন কেনো, আপনের মেয়ে ভুল পথে হাঁটছে, আর এর জন্য আপনাদের একদিন তার মাশুল দিতে হবে,,,
আর তার জন্য আপনেরা দায়ী থাকবেন,,
আমাকে বলে সেইটা তোমাদের না ভাবলেও চলবে বলে ফোনটা কেটে দিল,,
মাস কয়েক পর শুনি ওই মেয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছে, তার বাবা না কি ছেলের নামে অপহরণ মামলা করেছে,
বিশ্বাস করেণ ওই খবর টা শোনার পরে মনের মাধ্যে একটা ফাইন শান্তি অনুভব করছিলাম, ইস যদি আর এক বার তাদের সাথে কথা বলতে পারতাম কি যে ভালো লাগাতো।
আমাদের আজ এই অবস্থার জন্য আমরা নিজেরা দায়ী,,হিন্দু মেয়েরা in a open relationship status দিয়ে পোষ্ট করে আর সেখানে হাজারো হিন্দু ছেলে মেয়েরা তাকে wish করে congratulations দিয়ে থাকে,,
ব্যতিক্রম আমি কখনো দেখিনি কোনো মুসলিম মেয়ে কোনো হিন্দু ছেলে কে নিয়ে লাভ স্ট্যাটাস দিয়েছে আর সেখানে মুসলিম ছেলেরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে, আমি দেখিনি কখনো এমন,কিন্তু হিন্দু মেয়েদের দেখেছি অনেক।
আর এই ভাবে হিন্দু মেয়ে গুলো লাভ জিহাদে জড়িয়ে পরে,,
আবার দেখেছি হিন্দুরা মুসলিমদের ধর্ম আত্মীয় বানিয়ে থাকে, মুসলিমদের কে ভাই ফোঁটা দিয়ে থাকে পূজা পার্বণে বাড়িতে নিয়ে আসে,, পরে দেখা যায় ওই বাড়ির মেয়ে বা বউরা পালিয়ে যায়। ওই মুসলিমের হাত ধরে এমন অনেক প্রমাণ আছে।
তাহলে একবার ভাবুন আমাদের এই অবস্থার জন্য কে দায়ী।
আজকে যারা প্রতিমা ভাঙ্গছে আমারা তাদের কে বাড়িতে নিমন্ত্রণ দিয়ে নিয়ে আসি ওই প্রতিমা পূজো দেখার জন্য,,
হিন্দু মেয়েদের তো অনেক মুসলিম বান্ধী থাকে তো এই যে, মা সরস্বতীর প্রতিমা যে ভাঙ্গচুর করছে কখনো কি আপনাদের ওই মুসলিম বান্ধীরা আপানদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে,,,করেনি তো করবেনা কারণ আপনার দেবতা আপনার মূর্তি তাদের কাছে হারাম,
তাই আপনি সেক্যুলার হতে পারেন কিন্তু তারা সেক্যুলার নয়,, তারা তাদের ধর্ম কে ভালোবাসে, আপনার মত ধর্ম ত্যাগ করেনা,,
ইসলাম ধর্মে বলেছে মায়ের পায়ে সন্তানের বেহেস্ত, অর্থাৎ স্বর্গ,,,তাহলে যে হিন্দু মেয়ে বা ছেলেরা নিজ ধর্ম ত্যাগ করছেন, তাদের মায়ের পায়ে কি নরক ছিল না কি,,সনাতন ধর্মে তো মায়ের পা নয় পুরো মা,ই,স্বর্গ, আর সেই স্বর্গ ছেড়ে আপনেরা নরক দর্শন করতে চলে যান,,
যাই হোক নিজ ধর্ম ত্যাগ করে মা বাবার মনে কষ্ট দিয়ে কেউ সুখি হতে পারেনা,,,
তাই মিথ্যা প্রলভনে নিজেদের পরিবার থেকে পর হয়ে যাবেন না,, কথাই আছে চোখ থেকে ঝড়ে পরা অশ্রু আর চোখে ফিরে আসেনা,,
আপনি একবার নরকে গেলে আর স্বর্গের সন্ধান পাবেন না,,
ভগবান সবাই সঠিক পথে চলার দৃষ্টি দিন,,
হরে কৃষ্ণ।
sujan chandra,,