প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়ে কোটালীপাড়ার দরিদ্র নূপুর বিশ্বাসের খোলা চিঠি।

Uncategorized
শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার বিষয়টিই মনে হয় বেছে নিতে হবে!প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়ে কোটালীপাড়ার দরিদ্র নূপুর বিশ্বাসের খোলা চিঠি।ছবি ক্যাপশন: নূপুর বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমার নমস্কার নিবেন। অত্যন্ত দুঃখ-কষ্ট ও হাতাশা নিয়ে আপনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখছি। আপনার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ার ছিকটি বাড়ি গ্রামের এক কৃষক পরিবারের সন্তান আমি। বাবা-কালিদাস বিশ্বাস ও মা-মলিনা বিশ্বাস। দুই ভাইবোনের মধ্যে আমি বড়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি একজন নারী। আমি যতোটুকু জানি নারীদের বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন আপনি। এমনকি সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়েও নারীদের স্থান করে দিয়েছেন। আমার এসএসসিতে জিপিএ-৩.৯৪ ও এইচএসসিতে ৩.২০। বাংলায় অনার্স-৩.১৩ ও মাস্টার্স-এ ৩.২২ জিপিএ পেয়েছি। কিন্তু কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও ফল মিলে না। আমার চাকরির বয়সও প্রায় শেষ। বাবা-মা ও ছোট ভাইয়ের কষ্ট আর আমার সহ্য হয় না। ছোটবেলা থেকেই দুঃখ-কষ্ট ও অর্থনৈতিক অনটনের মধ্য দিয়েও লেখা-পড়া ছাড়িনি।
এক বেলা বা আধপেটা খেয়ে স্কুল-কলেজে গিয়েছি। মা-বার প্রেরণা ও আমার অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য এ পর্যন্ত অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়েছি। এর মধ্যে অন্তত ১৫টিরও বেশি মৌখিক পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করেছি। পরীক্ষাও ভালো হয়েছে। এমনকি কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে টাকাও দাবি করা হয়েছে।
কিন্তু আমি টাকা না দেওয়ায় সরকারি চাকরি নামক সোনার হরিণটি আমার ভাগ্যে জোটেনি। তাই মাঝে মধ্যে নিজেকে সামলে রাখতেও কষ্ট হয়। হাতাশায় ভুগি। এমনকি আত্মহত্যার মতো বিষয়টিও মাথায় আসে। কিন্তু মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের কথা চিন্তা করে অনেক কিছুই করতে পারছি না। কিন্তু এখন আর কোনো উপায় দেখছি না। তাই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার বিষয়টিই মনে হয় বেছে নিতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি ও আমার পরিবারের কথা বিবেচনা করে একটা চাকরির ব্যবস্থা করুন, প্লিজ। না হলে আমার পরিবারটি টিকবে না, ধুঁকে ধুকে মরবে। আপনার সদয় দৃষ্টিই পারে একটি অসহায় পরিারের দুঃখ দিনের পরিসমাপ্তি ঘটাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *