প্রবন্ধ (জাকির নায়েক সত্যর পূজারী) রাজিব কায়েস
পৃথিবীতে ঈশ্বরহীন মানুষ আছে। তবে ধর্মহীন একটি মানুষও নেই! বিশ্বাস থেকে ধর্মের জন্ম, নাস্তিক একটি ধর্মের নাম!
প্রথম’তো আমি ঈশ্বরহীন ব্যক্তির সাথে তর্ক করি না। দ্বিতীয়’তো ধর্মান্ধের সাথে তর্ক করি’না। কারণ, ছোট্ট জীবনে সময় মূল্যবান!
আরাক প্রথম’তো আমি ইসলামী চিন্তাবিদ নই। দ্বিতীয়ত আমি মূর্খ, পুস্তক জ্ঞানী নই। আমি আমার সুন্দর চিন্তাকে অনুসরণ করি। সব সুন্দর একই সূত্রে গাঁথা!
এক,
এক নং সূত্র… জিহাদ ঘোষণা করো হত্যা লীলা বও!
দুই নং সূত্র… আল্লাহ সর্ব শক্তিমান নন!
যদি বুঝতে চান তবে ধর্য্য ধরুন! যদি বুঝতে না চান। যদি অপমান করতে চান। যদি নিন্দা করতে চান। যদি শাস্তি দিতে চান। যদি ঘৃণা করার জন্য মাত্র যেকোনো একটা সূত্র চান, তবে বৃহৎ সূত্র হাতে পেয়েছেন! যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী তারাও সূত্র হাতে পেয়েছেন, যারা বিধর্মী তারাও সূত্র হাতে পেয়েছেন! পরে কী বলবো সেটার আর কোনো প্রয়োজন নেই! এক নং অথবা দুই নং সূত্র দ্বারা নিন্দা ও ঘৃণার সাগরে আমাকে ভাসিয়ে দিতে পারবেন। এবং আপনার তৈরি ঘৃণার সাগরে অসংখ্য মানুষ জাহাজ ভাসাবে, বৈঠা বাইবে, আপনার তালে তাল মিলিয়ে গান গাইবে!
যদি কারো দোষ খুঁজতে চান, তবে উঠতে বসতে দোষ পাবেন! যদি কারো গুন খুঁজতে চান, তবে উঠা বসার মাঝেও গুন খুঁজে পাবেন। অন্যের দোষ গুনের সন্ধান দেয় নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি! জাকির নায়েক এই ধরণের দৃষ্টিভঙ্গির স্বীকার!
এবার এক নং সূত্রের মূল বক্তব্য…
জিহাদ ঘোষণা করো হত্যা লীলা বও! নিজ দেহের নষ্ট’র সাথে জিহাদ ঘোষণা করো, নষ্ট’কে হত্যা করে সুন্দরের সাথী হও…
দুই নং সূত্রের বক্তব্য…
আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান নন! আল্লাহতালা সেই শক্তি, যে শক্তি, শক্তির সর্বচ্চ চূড়ায় বিরাজমান ।।
দুই,
বিপথগামী কিছু মুসলিম, ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া দেখায়! ওরা নিউটনের সূত্র! নিউটনের সূত্র ক্ষমা করে না! ইসলাম ক্ষমা করে…
ইসলাম ধর্মের সাথে অন্য কিছুর তুলনা, বা কোনো সুত্রের সাথে তুলনা, বা ইসলাম ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের প্রসঙ্গ আনা অবান্তর। এবং প্রাসঙ্গিক তুলনাও অবান্তর! __ বলেছেন অমক আলেম
ইসলাম বিষয়ে কথা বললে অন্য প্রসঙ্গ আসে। শুধু ইসলাম নয়, আসলে যে কোনো বিষয়ে কথা বললে অন্য প্রসঙ্গ বা তূলনা চলে আসে। কথার কথার কারণে, প্রসঙ্গ বা তুলনা আসার কারণে, আমরা মুসলিম ধর্মের কিছু মানুষ আল্লাহ’র বাণীর প্রচারক জাকির নায়েক’কেও আপমান করি! আমরা মুসলিমরা আসলে কী চাই!?
অন্যের দোষ গুনের সন্ধান দেয় নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি! জাকির নায়েক ইসলাম ধর্মের অন্ধকারময় ধর্ম ব্যবসায়ীর দৃষ্টিভঙ্গির স্বীকার হয়েছেন! শুধু ইসলাম ধর্মের নয়, সমস্ত ধর্মের ধর্মান্ধের চোখের বালি জাকির নায়েক !
অলস্থানের কেউ কেউ বলে… জাকির নায়েক ধর্ম ব্যবসায়ী! এবং আমিও এই বাক্যে সহমত! পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই কোনো-না-কোনো ভাবে ব্যবসায়ী। পতিতা দেহ ব্যবসায়ী। কবি লেখক প্রকাশক’রা বই ব্যবসায়ী। রাজনীতিবিদ দেশ ব্যবসায়ী ও ক্ষমতার ব্যবসায়ী। পন্য নয়, যারা চোরা পথে বা ভাল পথে মানুষ বিদেশ পাঠায়, তারা আদম ব্যবসায়ী। কঙ্গো, ঢাকা, সোমালিয়া বা ইউরোপে যারা চিংড়ি পাঠায় তারা চিংড়ি ব্যবসায়ী। যুদ্ধ বা গোন্ডগোল দ্বারা অর্থনীতি চাঙ্গা রাখে, যারা অস্র বিক্রি করে, তারা অস্র ব্যবসায়ী। যারা ধর্ম নিয়ে কথা বলে এবং মানুষ তাদের কথা টিকিট কেটে বা টাকার বিনিময়ে শোনে, তারা ধর্ম ব্যবসায়ী, এটাই নিয়ম, এটাই উপাধী!
ধর্ম ব্যবসায়ী আবার দুই প্রকার। এক প্রকারের ধর্ম ব্যবসায়ী মানব জাতিকে যুগযুগ ধরে অন্ধকারে ধরে রাখে। আরাক প্রকারের ধর্ম ব্যবসায়ী মানব জাতিকে এক স্রষ্টার আলোর পথে নিয়ে যায়। জাকির নায়েক মানব জাতিকে আলোর পথে নিচ্ছে। আমাপনার সবাই ব্যবসায়ী, তার মধ্যে কার ব্যবসাটা মানুষের মঙ্গল করছে সেটাই বড়।
তিন,
ঈশ্বর সবাইকে সমান শক্তি ও মেধা দেয়’না কারো কারো বিশেষ কারণে অধিক বেশী দেয়। তাদের’ই মধ্যে একজন জাকির নায়েক। যে’কোনো ধর্মের যে’কেউ সত্য জানার জন্য কাউকে বিশ্বাস করতে চান? তবে জাকির নায়েককে বিশ্বাস করতে পারেন।
যারা সাহিত্যকে ভালবাসে’না, তাদের দৃষ্টিতে কবি সাহিত্যিক বই ব্যবসায়ী! যারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে’না তাদের দৃষ্টিতে জাকির নায়েক ধর্ম ব্যবসায়ী বা তুচ্ছ। যে ধর্মের’ই হোক না কেন, যে মানুষ এক ঈশ্বর’কে বিশ্বাস করে তাদের কাছে জাকির নায়েক আগ্রহের কারণ। আগ্রহের কারণ দুইটা কারণে… জাকির নায়েক’কে নিন্দার দেয়ার জন্য আগ্রহের কারণ এবং জাকির নায়েকের থেকে সত্য জানার জন্য আগ্রহের কারণ! পৃথিবীতে দুই প্রকারের মানুষ আছে সত্যর-সন্ধাণী এবং নিন্দার-সন্ধানী!
যারা বিশ্বাস করে এই মহাজগৎ সৃষ্টি করেছে এক ঈশ্বর। তাদের এটাও বিশ্বাস করা উচিত… এই মহাজগৎ যদি একজন ঈশ্বর’ই সৃষ্টি করে থাকে, তবে ঈশ্বরের মনোনীত ধর্মও একটি। বর্তমানে আমরা যে, যে ধর্মে অবস্থান করছি প্রত্যেকের একবার নিজ মনকে প্রশ্ন করা উচিত, আমি কি সত্য ধর্মে আছি? এবং তখনই আমাদের সত্য ধর্মের সন্ধানে ধর্ম গ্রন্থ গুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিত! যদি কোনো মানুষ দ্বারা ধর্মের সত্য জানতে চাই, তবে জাকির নায়েক’ই উপযুক্ত পাত্র।
আমরা একই ঈশ্বরের সৃষ্টি। জাকির নায়েকের কাছে যেতে বিধর্মীদের সংকোচ থাকা উচিত নয়। কারণ, মানুষ মানুষ ভাই ভাই…
পরিক্ষা-বাবদ বিশেষ কৌশলে ঈশ্বর মানবজাতিকে স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন! একের অধিক ধর্ম হওয়ার কারণে, সত্য ধর্ম’তো দূরের কথা, কেউ কেউ তালগোল পাকিয়ে, কোনো ধর্মকেই বিশ্বাস করে’না!
ঈশ্বর যদি একটি হয়ে থাকে, তবে ৪২০০ ধর্মের মধ্যে যেকোনো একটি ধর্ম সত্য। একশটি ঈশ্বর যদি সত্য হয়ে থাকে, তবে পৃথিবীতে যে ৪২০০ ধর্ম রয়েছে তার মধ্যে যে কোনো একশটি ধর্ম সত্য, বাকি সব ধর্ম মিথ্যা! এবার বলুন পৃথিবীতে সর্বশক্তিমান একশত ঈশ্বর? নাকি সর্বশক্তিমান একটি ঈশ্বর? একশত ধর্ম সত্য, নাকি যেকোনো একটি ধর্ম সত্য?
যদি ধর্মের সত্য জানতে চাই, তবে জাকির নায়েক’ই উপযুক্ত পাত্র।
মানুষ স্বভাব গত কারণে সত্যকে ভালবাসে। কখনো কখনো আত্মীকবন্ধনের কারণে সত্যকে স্বীকৃতি দিতে পারে’না। তবে কেউ কেউ সত্যর জন্য আত্মিকবনন্ধকে পরাজিত করে!
জাকির নায়েক বর্তমান মুসলিম বিশ্বের এক মহানায়ক।
তিনি মুসলিম বিশ্বের মহানায়ক নন! তিনি বিশ্বের মহানায়ক! তিনি বিশ্ববিরল! বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে জাকির নায়েক সত্য বলার দোষে দোষী!
তুমি আমায় যতই আঘাত করো আমি কষ্ট পাই’নে! কারণ আমি জানি তুমি কেনো আঘাত করছো!