প্রিয় অপ্রেম,
তোমরা যারা প্রেমে পড়ো; মানুষের কিংবা প্রকৃতির
রঙিন হও নিজেরা কিংবা রাঙাও,ফাগুন আসে-
আসে বসন্ত!
তবে আমি প্রেমে পড়িনা তখন থেকেই
যখন দেখেছি এই সামান্য হরমোনের উথাল-পাতাল নিঃসরন আমি কে করে দিতে পারে ‘ভিন্ন আমি’ কিংবা সেইসব হানিমুন পিরিয়ড গুম করে দিতে গোটা আমিকেই!
বড্ড ভীতু, সার্থান্বেষী যাই বলো তা-ই
তাই আমি প্রেমে পড়িনা।
ঠিকমতো খেয়েছি,ঘুমিয়েছি,পড়ছি কিনা
বেখেয়ালি রাস্তা পার হচ্ছি কিনা,
চোখের নিচে কালিরা আরো কালচে হচ্ছে কিনা,
অসুস্থতায় ঠিকঠাক যত্ন নিচ্ছি কিনা,
ওসব,সব আমিই করি; আমিই পারি।
আমার শরীর,আমার মন, আমারই জীবন
তাই আমিই তারে যত্নে রাখি, নিজের প্রেমেই পড়ি!
অন্য কারো প্রেমে পড়াটা ঠিক হয়ে উঠছেনা এইজন্যই নাকি কি জানি?!
সেবার যখন জ্বরে পরলাম তখন ঘরে কেউ ছিলো না,সামান্য পানি খাওয়ানোর ছিলো না কেউ। তৃষ্ণায় বুকের ছাতি ফেটে যাচ্ছিলো আমার,বুক ধড়ফড় করছিলো।
মনের শক্তিতে শরীরকে টেনেটুনে তুলে পানি পান করেছিলাম হয়তো কিন্তু তৃষ্ণা মেটেনি।
তোমারে দেখার জন্য যেই তেষ্টা জাগে তা কি পানি পানে যায়?
চিঠি দিতে চেয়েছিলাম; কত লেখা কত কাটাকুটির পর তাও আর দেয়াই হলো না।
শেষমেশ ওবেলা স্লিপিং পিলেই কাটিয়ে দিলাম।
মনের অসুখ, শরীরের অসুখ সব থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়!
কিসের মুক্তি?
আধোঘুমে আমি টের পেয়েছিলাম তুমি দেখতে চেয়েছ আমাকে,তুমি এসেছো!
টলতেটলতে মাঝরাত্রিতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম,তোমারে আর দেখলাম না।
এইসব মুক্তি?
এমন অদ্ভুত সত্যমিথ্যার মাঝখানে থাকা মুহুর্ত কিংবা অনুভূতি লিখতে বসেছিলাম অথচ কানেকানে কেউ বলেছিলো,
হ্যালুসিনেশন অনন্যা, হ্যালুসিনেশন!
ঘুম ভেঙে খাতায় এসব দেখেছি,কাটাকুটি দেখেছি; আধখাওয়া গল্পের মতন।
আমিও প্রেমে পড়েছি ।
শুরু করেছিলাম কিনা আমি প্রেমে পড়ি না
আমি প্রেমে পড়িনা, আমি অপ্রেমের প্রেমে পড়ি;
সেসব অপ্রেম কিংবা ভুল প্রেমেই কাটিয়ে দিই এসব অজস্র প্রহর!
১৭/২/২১
সুমাইয়া অনন্যা