বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যে একটা ভীতি আছে।
হিন্দুরা জমি কিনতে ভয় পায়, হিন্দুরা বাড়ি বানাতে ভয় পায়, হিন্দুরা ব্যবসা করতে ভয় পায়, হিন্দুরা রাজনীতি করতে ভয় পায়, হিন্দুরা স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়। এই ভয়ের কারনেই হিন্দুরা সামাজিকভাবেও দুর্বল হয়।
নিজের সম্পত্তি নিজে রক্ষা করতে পারবে, এই সাহস তাদের তৈরী হয় না।
নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরা নিশ্চিত করতে পারবে, ওই সাহস তাদের তৈরী হয় না।
হীনমন্যতা আর ভীরুতা দিয়েই শুরু হয় হিন্দুদের শৈশব কৈশোর। পুরুষানুক্রমে এই ভয় চলতে থাকে। দু চারজন যদি সাহসী হয়ে ওঠেও, তাদের পাশে কেউ দাঁড়ায় না। সেই সাহসীদেরকেও বাকী হিন্দুরা পিছন থেকে টেনে ধরে রাখে। সেজন্যই সবখানেই হিন্দুরা মার খায়, হিন্দুরা প্রয়োজনে নিজেদের অস্তিত্ব আর অধিকার রক্ষায় কাউকে মার দেবে, প্রয়োজনে গর্জে উঠবে, এই ঘটনাটাই ঘটে ওঠে না।
এই সুযোগটাই নেয় সুযোগ সন্ধানীরা। তারা জানে, হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করতে গেলে, তাদের গায়ে হাত দেবার সাহস হিন্দুদের নেই। তারা জানে, হিন্দুদের মন্দির ভাংলে হিন্দুরা চুপচাপ হজম করবে, তারা জানে, হিন্দু মেয়েদের জোরজবরদস্তি করলেও হিন্দুরা চুপই থাকবে, তেড়ে আসবে না।
এবং এই দুর্বলতার সুযোগই তারা যুগ যুগ ধরে নিতে থাকে।
আর হিন্দুরা শুধু অভিমান করে, হিন্দুরা শুধু পালায়, হিন্দুরা শুধু অভিযোগ পুষে রাখে।
আর দিন দিন ভীতু হয়, দিন দিন ক্ষীণ দুর্বল হয়ে যায়।
বিধান চন্দ্র