বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্লাবন বইছে

Blog হিন্দু
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এমন প্লাবন বইছে ― প্রতিবেশী ভারতের নরেন্দ্র মোদী এবং তার স*রকার ধুতিতে কাছা দিয়ে ডি*স্কো ডান্স দিচ্ছে মৌনতার সহিত হিন্দু অত্যাচার দেখে ও নিজ দেশে অহিন্দুদের জন্য বাজেট, স্কলারশিপ+ সব সুযোগ-সুবিধা অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়ে ও ভারতের সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ে সব ঢেলে।
প্রসঙ্গক্রমে আমি বাংলাদেশের হি ন্দুদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা একটু বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করুন। তালে বানরা আফগানিস্তানকে হি ন্দু, শি খ শূন্য করেছে এবং তার পুরস্কার স্বরূপ, ভারতের বিজেপি সরকার দফায় দফায় আফগানিস্তানে এত খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ ও টিকা পাঠিয়েছে, ফ্রান্স ব্যতীত পৃথিবীর অন্য কোন দেশ এত সাহায্য পাঠায়নি। অথচ আফগানিস্তানের তালে বান সরকার বা*রংবার বলছে, ভারতীয়রা যদি আফগানিস্তানের ঢোকার চেষ্টা করে- তাহলে লা*থি মেরে বের করে দেওয়া হবে এবং ভার*তীয়দের কো*নভাবেই কোন সাহায্য নয়।
ভারতের কিছু মানুষ মোদী-অমিত শাহ নিয়ে নাচানাচি করছে, করুক। সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশের হি ন্দুরা মোদী-অমিত শাহ নিয়ে মাতামাতি করবে কেন! বাংলাদেশের কোন হি ন্দুকে যখন লিখতে দেখি ‘মোদী-অমিত হিন্দু হৃদয় সম্রাট’ – আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কারণ গত শারদীয় দূর্গোৎসবের সময় বাংলাদেশে এত বড় সাম্প্র*দায়িক হাম*লা,লু*টপাট,ভাং*চুর হলো, তখন বাংলাদেশের বিপন্ন হি ন্দুদের জন্য মোদী-অমিত দুই সের চাল পাঠানো তো দূরের কথা, মৌখিক সহানুভূতিটুকু পর্যন্ত প্রকাশ করেনি।
বাংলাদেশের হি ন্দু নামধারী এক খা*ন কির বাচ্চায় লিখেছে, “বাংলাদেশে হি ন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদ না করে মোদী নাকি মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে।”
সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশের হি ন্দুরা ইন্দিরা গান্ধী এবং গান্ধী-নেহেরু পরি*বারের পূজা করতো। আমি তখন বলতাম, ই*ন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের হি ন্দুদের সবচেয়ে বড় শত্রু। ইন্দিরা গান্ধীর ধর্মনি*রপেক্ষতার ষড়যন্ত্রে, অবিভক্ত পাকিস্তান সরকার- পূর্ব পাকিস্তানে ইতিহাসের স*র্ববৃহৎ ‘হি ন্দু হলোকাস্ট’ সংগঠিত করার সাহস পেয়েছে। দুশ্চরি*ত্রা ইন্দি*রা গান্ধী বিনা-ক্ষতিপূরণে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিয়েছে এবং কাশ্মীরও ছেড়ে দিয়েছে ভূট্টোর সাথে সিমলা চুক্তিতে; পূর্ব পাকি*স্তানের হলোকাস্ট সার্ভাইভার হি ন্দুদের জন্য একটি টা*কাও ক্ষতিপূরণ আদায় করে নি।

আমার মুখে সেই অপ্রিয় সত্যবচন শুনে হি ন্দুরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতো; ধর্মনি*রপেক্ষতার বিরুদ্ধে কথা বলছি- এই অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের হি ন্দুরা আমাকে তেড়ে মারতে আসতো। যদিও নতুন প্রজ*ন্মের ইন্দিরা গান্ধীর মোহ কেটেছে।
ভারত গোল্লায় গেছে। ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতা ধীরে ধীরে ঐ দেশটিকে আফগানিস্তানে পরিণত করবে। কিন্তু যারা মানবতা রক্ষক নামে পরিচিত – সেই ইউরোপ-আমেরিকা মিয়ানমারের হি ন্দু-হত্যাকারী রোহিঙ্গাদের জন্য কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে, অথচ বাংলাদেশে যে রনি সত্যার্থীরা জেলখানায় পচে মরছে, তারা তা দেখেও দেখছে না।
আমরা কার কাছে বিচার চাইব? কার কাছে সাহায্যের আবেদন জানাবো? পৃথিবীতে আদৌ কী আমাদের কোনো বান্ধব রয়েছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *