বিআরটিএ গেছি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য। তিন ধাপে পরীক্ষা হয়, শুরুতে রিটেন, তারপর ভাইভা, সবশেষে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হয় প্র্যাক্টিক্যাল গাড়ি চালানোর পরীক্ষা।
রিটেন ইক্সাম দিতে বসলাম, আশেপাশের সবার সাথে কথা বলে দেখলাম পুরা রুমে একমাত্র আমি গেছি দালাল ছাড়া লাইসেন্স করাতে৷ আমার রোল ৭৩, পাশের লোকের রোল ১৯৮, নাম জাহিদ হাসান। ইক্সাম দিলাম ভালই, পাশের লোক দেখে দেখে লিখতিছিল আর বলতিছিল ভাতিজা এত লেইখা লাভ নাই, দালাল ছাড়া লাইসেন্স হয়না। যাই হোক ভাইভা দিতে গেলাম, পারলাম সব, আবার ১৯৮ রোলের সাথে দেখা, দেখেই দাঁত বের করা হাসি দিল, মেজাজ বিগড়ায় গেল এবার। সবশেষে প্র্যাক্টিকাল ইক্সামে বাইক আর কার ২ টাই ঠিকমত চালিয়ে পার করলাম। রোল ১৯৮ কে দেখলাম একটাও পারল না ঠিকমত, গাড়ি থেকে নেমেই সে দৌড় দিল দালালের কাছে, ফাইল হাতে নিয়ে দালাল তাকে বলল আরে আপনার লাইসেন্স হয়ে গেছে,বাড়িতে যান। এসব দেখে দোটানায় পড়ে অবশেষে কাছেই ফাইল হাতে দাঁড়ানো এক দালালের মত লোককে গিয়ে বললাম, মামা আপনি লাইসেন্স করায় দিতে কত নেন? সাথে সাথে উত্তর আসল, বেয়াদব কোথাকার,আমি এখানকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট৷ তোমার নাম,রোল বল। কোন উপায় না দেখে আমার সহজ উত্তর, নাম জাহিদ হাসান, রোল ১৯৮।
ড্রাইভিং টেস্টের রেজাল্ট দিছে, আমি পাস করেছি। স্যার জাহিদ হাসান করেন নাই।
-সংগৃহীত