বিশ্বাসী মন মাত্রই পৌত্তলিক। তা সে হিন্দু হোক, খ্রিস্টান বা মুসলমান।

Uncategorized

বিশ্বাসী মন মাত্রই পৌত্তলিক। তা সে হিন্দু হোক, খ্রিস্টান বা মুসলমান।

আজ সকালে এক মুমিন বন্ধু বলেছেন তিনি ‘গায়েবী আল্লাহ’র আরাধনা করেন কোনও দেবদেবীর নয়। কিন্তু এই বন্ধুটি মুহূর্তের জন্যে ভুলে গেছেন যে পৃথিবীর এক বিলিয়ন মুসলমান তাদের এই কথিত ‘গায়েবী আল্লাহ’র আরাধনা করেন মর্ত্যের একটি শরীরী ভাবে উপস্থিত ভবনের দিকে মুখ ঘুরিয়ে। একে তাঁরা বলেন ‘কেবলা’। আচ্ছা বলেন তো ‘গায়েবী আল্লাহ’র কেনো একটি ইট – সুড়কি দিয়ে গড়া ‘বাড়ী’ থাকতে হবে? ক্বাবা নামের বাড়ীটি কি ‘গায়েবী’? নাকি মূর্তিমান?

সরদার জিয়াউদ্দিনের সবচাইতে বিখ্যাত সাম্প্রতিক পুস্তকের নাম হচ্ছে ‘Mecca: The sacred city’। বইটি নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বলেছেন মুসলমানেরা ক্বাবার যত কাছে যায় ততই তাঁদের আধ্যাত্মিকতা বা স্পিরিচুয়ালিটী হারায়। কেননা ক্বাবার কাছে গিয়ে মুসলমানদের মধ্যে এক ধরনের দুনিয়াবি প্রতিযোগিতা তৈরি হয় কে কতটা কাছে যেতে পারবে ক্বাবা শরীফের, কে কার আগে ক্বাবার কাছে গিয়ে সেলফি তুলতে পারবে। এমন কি যখন ক্বাবা শরীফের ভেতরে যাবার সুযোগ পাওয়া যায় তখনও মুসলমানদের মধ্যে ক্বাবা কে ছুঁয়ে দেখার প্রতিযোগিতা দেখা যায়। কেনো ক্বাবাকে ছুঁয়ে দেখার এতো আকুতি মুসলমানদের? কেননা ক্বাবা’ই হচ্ছে দুনিয়াতে আল্লাহ’র প্রতিমূর্তি।

হজরে আসওআদ পাথরে চুমু খাবার জন্যে যে ব্যাকুলতা সেটা পৌত্তলিকতা ছাড়া আর কি? শয়তানের ঘরে পাথর ছোড়ার জন্যে যে লম্বা মিনারটিকে পাথরে ক্ষত বিক্ষত করেন হাজিরা সেটা পৌত্তলিকতা ছাড়া কি?

তবে হ্যাঁ, মুসলমানদের পৌত্তলিকতা সীমিত। মক্কা আর মাজার শরীফ কে কেন্দ্র করে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মুসলমানেরাই সবচাইতে বড় পৌত্তলিক ধর্মীয় সম্প্রদায় এই দুনিয়াতে।

ভেবে দেখুন, ভাবুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *