সর্বশেষ কবে মানিব্যাগে টাকা নিয়ে দোকানে গিয়েছি বা নগদে পেমেন্ট করেছি তা ভুলে গিয়েছি। এতদিন কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করলেও এখন যুক্ত হয়েছে গুগল বা অ্যাপল পে দিয়ে মোবাইল পেমেন্ট।
ভুলে মানিব্যাগ না নিয়ে বা মানিব্যাগ নিলেও কার্ড না নেয়ায় দোকান থেকে ফেরত আসতে হয়েছে বা মালামাল শপিং কার্টে তুলেও ফেরত দিয়ে আসতে হয়েছে কয়েকবার। মোবাইল পেমেন্ট সেই সমস্যাও দূর করে দিয়েছে। যাদের অ্যাপল ঘড়ি আছে তাদের জন্য মোবাইলও দরকার নেই, ঘড়িই যথেষ্ট।
ভবিষ্যতের পেমেন্ট সিস্টেম কী হতে পারে এটা নিয়ে ভাবতে মনে হলো চোখে চোখে পেমেন্ট সিস্টেম চালু করা যেতে পারে। মস্তিষ্ক হবে ডাটাবেইস, আর চোখ হবে স্ক্যান, ভেরিফিকেশন ও ট্রান্সফারের উপায়। দোকানদার তার চোখ দিয়ে পণ্যের মূল্য স্ক্যান করে তার মাথায় ডাটা প্রসেস করে ক্রেতার চোখে তাকাবে, ক্রেতা তার মস্তিস্কে প্রেরণ করবে, মস্তিষ্ক একমত হলে দোকানদারের চোখে ফিরতি সিগন্যাল দিবে এবং টাকা ট্রান্সফার হয়ে যাবে।
কাছের মানুষদের জন্য আরেকটা উপায় বাতলানো যায় – ঠোঁটে ঠোঁটে ট্রান্সফার। এর ফলে আরো যে উপকার হবে তা হলো দম্পতিদের মধ্যে প্রেম-মহব্বত বাড়বে। তবে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের অপব্যবহার করে একজন আরেকজনের পকেটমারারও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।