ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পেলেন বাংলাদেশের ড.সানজীদা খাতুন এবং লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক। সানজীদা খাতুন পেয়েছেন শিল্পকলায় এবং কর্ণেল সাজ্জাদ জহির বীর প্রতীক পেয়েছেন পাবলিক এফেয়ার্সে। ১৯৫৪ সাল থেকে প্রবর্তিত ভারতের এই জাতিয় পুরস্কার ভারত এবং ভারতের বাইরের দেশের গুণী ও বিশিষ্ট খ্যাতিমান মানুষদের জন্য উন্মুক্ত। এর আগেও বাংলাদেশের ড.আনিসুজ্জামান সহ কয়েকজন এই পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ভারতের আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার সহ আরো কিছু পুরস্কার বাংলাদেশের অনেকেই পেয়েছেন। আমার প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও একুশের পদকের মতো জাতিয় সম্মাননাগুলো কেন তবে ভারতের বিশিষ্ট খ্যাতিমানদের জন্য উন্মুক্ত নয়? জাতিয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেবার সময় একবার একটি টেকটিক্যাল ইভেন্টে ভারতের একজন পুরস্কার পেয়েছিলেন। পরে তার ভারতীয় পরিচয় পেয়ে পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়া হয়। কত হীনমন্য আমরা ভাবতেই অবাক লাগে! আমরা শুধু নিতে জানি দিতে নয়।
আহমদ ছফা একবার ভারতীয় লেখকদের লেখা বই একুশের বই মেলায় এলে বাংলাদেশের লেখকদের বই বিক্রি হবে না এই ধূয়া তুলে ভারতীয় লেখকদের বই একুশের বই মেলায় নিষিদ্ধ করার আয়োজন করেছিলেন। অথচ প্রতিবছর কলকাতা বই মেলাতে আমরা সেখানে প্যাভেলিয়ন খুলে বসে থাকি। আমাদের এতে লজ্জাও করে না! আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অনেক বিশিষ্ট মানুষদের যেমন অবদান ও ভূমিকা ছিল তেমনি বাংলাদেশের শিল্প সাহিত্যে পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের কাছে কি আমরা ঋণী নই? তবে কেন এই সংকীর্ণতা ? কেন এই হীনমন্যতা?