সাম্প্রতিক সময় ফ্রান্স সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ জনের অধিক বাংলাদেশিকে উগ্রবাদি সন্দেহে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ভিয়েনা হামলা সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলায় এবং কার্যক্রমে বাংলাদেশিদের জরিত থাকার অভিযোগ এসেছে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যা হয়েছে বিশ্ব গনমাধ্যম পুরো দুনিয়াকেই বাংলাদেশের এক নতুন রুপে দেখিয়েছে।
সিংগাপুর সেই ২০১৭ সাল থেকেই ফেরত পাঠাচ্ছে। সৌদির যুবরাজ সলমান আরব রাষ্ট্রনায়কদের এক সম্মেলনে সমগ্র আরব অন্চলকে নতুন ইউরোপ তৈরি করার ঘোষনা দিয়েছেন। সম্মেলনে উপস্থিত মুাসলিম রাষ্ট্রনায়কেরা তাতে সম্মিতি জানিয়েছে। আমার ধারনা সেখানেও আগামি দুই এক বছরের মধ্যে জংগি তৎপরতায় বাংলাদেশীরা ধরা খাবে। আরবরা ইউরোপের মতন মানবতা দেখাবে না, হাজারে হাজারে পাছায় লাথি দিয়ে ফেরত পাঠাবে। দুনিয়াতে আরো বহু গরীব দেশে সস্তা শ্রম আছে। এটা আরবরা খুব ভালো করেই জানে।
বাইরের কথা বাদ দিলাম। দেশে যা হচ্ছে এটা হইলো শেষ স্তর। আগামি দুই-এক বছরের মধ্যে পুরাপুরি শরীয়া আইন- নারী নেতৃত্ব নিষিদ্ধ এসবের আলাপ ওরা সমাজের তৃনমূলে ওয়াজ-মাহফিলের মাধ্যমে শুরু করবে। গার্মেন্টস শিল্প যেহেতু নারী নির্ভর সেইদিকেও তাদের নজর যাবে। আওয়ামিলীগ-বিএনপি-আমলাদের বেশিরভাগ নেতাদেরই সেকেন্ড হোম আছে। তারা রাতের আঁধারে দেশ ছাড়বেন। শত শত আওয়ামীলীগ নেতা ভারতে আশ্রয় নিবে, যদিও আগের মতন ততটা সহজ হবে না্
দেশে থাকবে শুধু ইসলাম এবং ইসলামি জনতা। মেডিক্যালে পড়া ছাত্র, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, বুদ্ধিজীবি, বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী যারা আজকে সহি ইসলাম চায় তারা কুফরি বিদ্যা শেখার অপরাধে বেতের বাড়ি খেয়ে হোগা লাল করে তওবা পড়বে। ব্যাবসায়ী যারা তাদের ফ্যাক্টরিতে-অফিসে নারী কর্মী রেখেছেন, ব্যাংকিং তথা সুদী কার্যক্রমে জড়িয়েছেন, আবার নিয়মিত মসজিদ-মাদ্রাসায় দান করে মোল্লাতন্ত্রের পুষ্টি জুগিয়েছেন শরীয়া আইনে তাদের ব্যাবসা যাবে, কল্লাও কাটা যাবে।
আওয়ামি লীগ-বিএনপির খুচরা নেতা কর্মীদের কুফরী গনতন্ত্র চর্চার অপরাধে গর্দান যাবে। তখন একটা হাততালি হবে। কারন এরা ধর্মে ছিল, আকামেও ছিল। এরা একদিকে বিত্ত জমিয়েছে আবার পরকালের ৭২ হুরের জন্য মোল্লাদেরও পালছে।
আর বড়জোর দুই থেকে তিন বছর। আরো আগেও হইতে পারে। দেশে ইসলাম কায়েম হবে। দেশ দুধ-মধুর বন্যা বইবে সেদিনের অপেক্ষায় আছি। মরার পরে বেহেস্ত-দোযখ আছে কি-না কেউ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবে না, কিন্তু কর্মফল আছে এই দুনিয়াতেই সেটার গ্যারান্টি আছে। সেটা বেঁচে থাকতে দেখে যাবো এইটাও একটা সুখ।
আমি ভারত সরকারের কাছে আগাম দাবী জানাই তারা যাতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-নাস্তিক সহ সকল ভিন্ন ধর্মের লোকেদের তখন সীমান্ত পার হয়ে আশ্রয় নিতে দেয়। কিন্তু একটা মুসলমানকেও না। কারন এরা যেমন দেশ চেয়েছিল, ঠিক তাই পেয়েছে। একাত্তরে কর্মফল পুরাপুরি ভারতের বদান্যতায় ভোগ না করাতে এরা কিছুই শিখে নাই। এইবারে পুরো কর্মফল ভোগে এদের বাধ্য করতে হবে।