ভাস্কর্য আলাদা, মূর্তি আলাদা- এরকম বেকুবি যুক্তি দিয়া মোল্লাদের বুঝাইতে চেষ্টা কইরেন না। মোল্লারা আপনার চাইতে কম বুঝে না।
তার চেয়ে জরুরি প্রশ্ন তুলেন যে মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় যে এতো শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, সেটা বন্ধ করতে শীর্ষ আলেমরা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? গরীব ছোট ছোট বাচ্চাকে দুইবেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষন যারা করছে, সেই শিশুদের নিরাপত্তার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কী মেকানিকজম চালু করেছে?
এই বাচ্চাদের কাছে তথ্য পৌঁছে দেয়ার, নিপীড়িত হলে রিপোর্ট করার কথা কি তাঁদের বুঝানো হচ্ছে, জানানো হচ্ছে? মাদ্রাসাগুলোতে যৌণ নিপীড়ন বন্ধে কি কমিটি করা হয়েছে? মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ, হোস্টেল সুপার, প্রিন্সিপাল এদেরকে শিশু পালন ও শিশুদের শারিরীক ও মানসিক নিরাপত্তা নিয়ে কীভাবে সচেতন থাকতে হবে, কীভাবে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে তার উপর আলোচনা-প্রশিক্ষন এসব চালু করার ব্যাপারে সারাদেশের মাদ্রাসার মুরুব্বি আলেমরা কী উদ্যোগ নিয়েছে, এসব বিষয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা দরকার।
বুড়িগঙ্গার পারে মূর্তি না ভাস্কর্য দেখার চাইতে এই শত শত শিশু নির্যাতন লক্ষগুন বড় পাপ – এটা কিন্তু এই পাপপূন্যের ঠিকাদাররা বড় গলায় বলে না।
নুসরাতের কথা ভুলে যাইয়েন না। মাদ্রাসা ছাত্রী কিশোরী নুসরাত সাহস করে তাঁর উপর যৌণ নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ করেছিল। সেই প্রতিবাদে তার মাদ্রাসা অধ্যক্ষ তো থেমে যায়ই নি, বরং ষড়যন্ত্র করে সেই কিশোরী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। নুসরাত হত্যাকারী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার মতো লোকগুলো নুসরাতদের যৌন নির্যাতন করতে, পুড়িয়ে হত্যা করতে সাহস পায় কারন আপনারা এদের আস্কারা দিয়ে দিয়ে তাদের মনে এমন ভাব এনেছেন যে তারা যা বলবে সে অনুযায়ী দেশ চলবে।
এই যৌণ নির্যাতনকারী, শিশু ধর্ষনকারীদের বিরুদ্ধে আলেম সমাজ নিজেরা যতদিন রুখে না দাঁড়াবে, এর প্রতিবিধান করতে এগিয়ে না আসবে, ততদিন সেই আলেমরা ইসলামের খেদমত করছে, এটা বিশ্বাস করার কিছু নেই।
ঘরে নির্যাতিত শিশুর নিরাপত্তার উদ্যোগ না নিয়ে ধোলাইপারের মূর্তি নিয়ে যারা দেশ গরম করার চেষ্টা করে, তারা আর যাই হোক, ইসলামের খাদেম যে না, এরা সিরাজ উদদৌলারই সহকর্মী, এই কথাটা পরিস্কার।