মন্দিরে মাইক লাগাও
প্রতিটি গ্রামের, প্রতিটি শহরের, প্রতিটি পাড়ার সার্বজনীন মন্দিরগুলোতে আবশ্যিকভাবে অন্তত দুইটা মাইক লাগাতে হবে।
সাপ্তাহিক হরিসভা, গীতা-ভাগবত পাঠ, কীর্তন, ধর্মসভা মাইকে প্রচার করতে হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা কীর্তন হলে সেটা মাইকে প্রচার করতে হবে। তবে সেটা আজা-ন, নামা*জ কিংবা প্রতিবেশীদের অতিরিক্ত সমস্যার কারণ যেন না হয় সেদিকেও সতর্ক খেয়াল রাখতে হবে। মাইক ব্যবহারে অবশ্যই পরিমিতি বোধ থাকা আবশ্যক।
মন্দি-রে মাইক ব্যবহারের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো, বিপদে আপদে এক মুহূর্তেই সমস্ত এলাকার মানুষকে অবহিত করা যায়। দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়, একত্রিত করা যায়, প্রতিহত করা যায়। মস-জিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে হি-ন্দুদের মন্দির/পাড়ায় হাম-লা করার বহু ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এমন প্রেক্ষিতে আত্মরক্ষার জন্য মন্দিরের মাইক অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাঁরা নিজ নিজ এলাকায় স্বধর্মের ও স্বজাতির সেবা করতে চান, তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে মন্দিরে মাইক দান করুন। একটা সাধারণ মানের মাইক সেটের দাম ৩,৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ১২-১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
মন্দির সংস্কারের আগে মাইক সেট করুন। অসুরক্ষিত মন্দিরে কোনো দেববিগ্রহ থাকলে সেসব হয় সুরক্ষিত করুন, না হয় বিসর্জন দিয়ে দিন। অপ্রয়োজনীয় মণ্ডপ না রেখে বরং সম্মিলিতভাবে একটি মন্দির সুরক্ষিতভাবে গড়ে তুলুন। মন্দিরে গীতাস্কুল, যোগচর্চা কেন্দ্র, সাপ্তাহিক গীতা-ভাগবত পাঠ-কীর্তন, ধর্মালোচনা (ইতিহাস ও বাস্তবমুখী) চালু করুন। হিন্দুদের সর্বজনীন মিলনকেন্দ্র হিসেবে, শক্তিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলুন মন্দিরকে। রাজনৈতিক পা-চাটা দালালদের কমিটি থেকে বহিষ্কৃত করে সাহসী সুশিক্ষিত হিন্দু নেতৃত্বকে কমিটিতে আনুন। রাজনৈতিক নেতা অপেক্ষা কমিউনিটি নেতা আমাদের বেশি দরকার। মস-জিদের ইমা-মরা কিন্তু রাজনীতি করেন না। কিন্তু তারাই শক্তির কেন্দ্রে থাকেন। আমাদের পুরোহিতদের ডাইনামিক হতে হবে। কমিটির নেতৃত্বেও ডাইনামিক হিন্দু নেতা লাগবে। গ্রাম/পাড়া বা মহল্লার সিংহভাগ হিন্দুরা যদি তার পাশে থাকে রাজনৈতিক নেতারাও তাকে সমীহ করবে। হ্যাঁ, চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকলে সকল চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করতে পারব। জয় শ্রীরাম।
*যারা নিজের এলাকার মন্দিরে মাইক লাগাবেন, দয়া করে ছবি তুলে গ্রুপে পোস্ট দেবেন। আমরা আপনাদের অভিনন্দিত ও সম্মানিত করব।
#মন্দিরেমাইকলাগাও