মন ভাল নেই , কিন্তু পড়েই হাসি পেল ! বন্ধুরা যারা হাসবে তাদের জন্য ! জোর করে পড়ে হেসোনা প্লিজ !!
ভাষা অপরিবর্তিত
– খা এইটা!
— কি?? এইগুলা কি??
– নুডুলস। আমি নিজের হাতে বানাইসি। শুধু তোর জন্যে
— তুই নিজে বানাইসিস! সত্যি?? আর আমার জন্যে?? কস কি!!
– হুম। সত্যি। লাইফে ফার্স্ট টাইম রান্না করসি।
(এভাবে কেউ কিছু খাওয়ালে মেস বাড়িতে থাকা পোলাপান এর বাড়ির কথা মনে পড়ে যায়। জিভে জল চলে আসে। আর কারো নিজের হাতে করা ফার্স্ট রান্না! এটাতো নিজের স্পেশালিটির আরেকধাপ! তাড়াহুড়া করে বাটি এগিয়ে নিলাম। মুখে দিলাম।
নুডুলস নাকি সেমাই বুঝতে একটু সময় লাগলো। সেমাইতে পেঁয়াজ দেয় না; এইটা মনে হতেই বুঝলাম নুডুলস এটা। তবে লবনের দাম কবে এত কমে গেছে আল্লাহ মালুম! আর গোটা গোটা মটর দানা এত শক্ত; যে মনে হচ্ছে দাঁতটামট করে ভেঙ্গেই গেলো বোধ হয়!! সবজিগুলো সব আধা কাঁচা!! আল্লাই বাচাইসে মাংস দেয় নাই!)
– কিরে কেমন হইসে??
( খুব আশা করে তাকিয়ে থাকা চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যাই উত্তর দিলাম। )
— প্রথমবার হিসেবে অসাম হইসে। বোঝাই যায়না প্রথমবার রান্না করসিস। লবনটা একটু বেশি দিসস। তবে বাকি সব কিছু ঠিকঠাক।
– আসলেই??
— হুম
– বলিস কি!!! খা খা!! সবগুলো খেতে হবে কিন্তু!
— সবগুলো!! ( ইয়া মাবুদ!!) ক্যান??
– আগে সবগুলো খা। তারপর বলতেসি!
( কোনমতে নাকে মুখে খিচে গিলে শেষ করলাম। শরীরের প্রতিটা পার্টস চিল্লাইতেসিলো খাওয়ার সময়! খাওয়া শেষ করে বান্ধবীর দিকে তাকাতেই কারন জানা গেলো)
– বাসায় কাউরে খাওয়াইতে পারি নাই! ইভেন আমিও খাইতে পারিনাই। ফেলে দিতে হতো; তাই তোরে দিসিলাম। কিন্তু তোর এত্ত পছন্দ হইসে!!!!! বিকেলে বাসায় তোর দাওয়াত। চিন্তা করতেসি পাস্তা রাঁধব।
সংগৃহিত !!