টাকলা মুরাদ একটা মানসিক প্রতিবন্ধী। তা না হলে যে বিষয়টি তার সাধ্যের বাইরে তা নিয়ে কখনো পাবলিক প্লেসে এভাবে ওপেন চ্যালেঞ্জ করতে পারতেন না। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকবে কি থাকবেনা সেই সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা মুরাদ এমপির নাই!!!!
পাগলায় অযথা একটা ফাউ প্যাচালে জড়াইয়া মুসলিম জনতার চরম ধোলাই খেলেন। মুসলিমদের ধর্মীয় প্রেমে আঘাত দিলে এমন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তার এই লাঞ্ছিত হওয়ায় কারও কোন দুঃখবোধ বা আফসোসও নেই। কারন, এটা হতেই পারে!!!!!
আফসোস হচ্ছে এজন্য যে.. গত এক সপ্তাহ যাবত এই টাকলা মুরাদ ইস্যুতে হাজারটা ওয়াজ মাহফিলে কয়েক হাজার আলেম সাহেবকে দেখলাম মুরাদ ইস্যুতে হুঙ্কারে চিৎকারে একেবারে সোফা গরম করে ফেলছেন। ইস্যুটা যেহেতু ধর্মীয়, তাই সোফা গরম হতেই পারে। এখানেও কোন সমস্যা নেই। এটাও হতে পারে!!!
কিন্তু ‘এ্যাট দ্যা সেইম টাইম ইন দ্যা সেইম ইস্যু’ একজন মুমিনকেও দেখলাম না সৌদির পবিত্র মাটিতে চলচ্চিত্র উৎসব আর তাবলীগ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে!!!
টাকলা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না থাকার কথা বলে অপরাধ করছিলো তার জন্যই অনেকে আবেগে একেবারে লম্বা লম্বা কবিতা লিখে ফেললো- আল্লাহ নাকি ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয়না!!!
কিন্তু সৌদি আরব যখন বাংলাদেশে কোটি কোটি সরল প্রান মুসলিমের তাবলীগ জামাত নিষিদ্ধ করলো তখনো তাদেরকে আল্লাহ ছেড়ে দিলেন। সৌদিরা যখন মক্কার-ই পবিত্র ভূমিতে ইহুদিদের মতো চলচ্চিত্র উৎসবের নগ্নতা প্রদর্শনের নামে মেয়ে নাচানোর এক ঝলমলে নগ্নোৎসব আয়োজন করলো, আল্লাহ তাদের ছেড়ে দিলেন!!!
কিন্তু কিভাবে ভাইয়া????
মুরাদ টাকলা কি সৌদি সরকারের থেকে বেশি অপরাধ করছে?? রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বাতিল করার ক্ষমতা এমপি মুরাদ বা দলীয় কোন এমপি-মন্ত্রীর নেই। বেচারা হয়তো না বুঝে একটা কথা বলে ফেলছে, তার জন্য তো কোটি মানুষের নিন্দা-ঘৃনা আর অপমান-গালাগালির এক মহা সমুদ্রে ভাসছেন মুরাদ!!!!
কিন্তু সৌদি আরব যেটা করছে সেটা তো আর না বুঝে করেনাই। তারা তো ইচ্ছা করেই এসব ইসলাম বিরোধী কাজগুলো করছেন। ইসলামের বিরুদ্ধে গিয়ে এরকম একটি কথা বলার কারনে যদি মুরাদকে নিয়ে ব্যাঙ্গ-রস কবিতা-গান করা যায়, সৌদির এই কাজের প্রতিবাদে কেনো তাদেরকে তিরস্কার করা যাবেনা???
কেউ কেউ তো মুরাদকে নিয়ে কবিতা লিখে, গল্প লিখে, বড় বড় উপন্যাস ও সংঙ্গীত রচনা করেও মনের জ্বালা মিটাইলেন। এবার সৌদির এমন কর্মকান্ডেও আপনারা কোনো গান-কবিতা গল্প লিখবেন কি??
লিখা উচিৎ, যদি না লিখেন তাহলে মুসলিম হিসেবে এই বৈষম্য নীতিটা হবে আপনার জঘন্য দ্বিচারিতা। ইসলাম দ্বিচারিতাকে সমর্থন করেনা, কারন দ্বিচারিতা চরিত্রহীন মানুষের কাজ। কোনো মুমিন মুসলিম এটা করেনা এবং করতে পারেনা!!!!