মূর্তি উপাসকদের প্রার্থনা পদ্ধতিটিই হল মুসলমানদের নামাজ
****************************************
বলা হয়ে থাকে ইসলামের প্রার্থনা পদ্ধতিটি আল্লাহ প্রদত্ত । নবী মুহাম্মদ মেরাজে গিয়ে মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান আল্লাহর কাছ থেকে নিয়ে আসেন। গাদার পিঠে চড়ে আকাশ ভ্রমণ যেমন একটি মিথ্যা কথা তদ্রূপ নামাজের এই বিধান আনয়নও একটি মিথ্যা কথা । যার মাধ্যমে সরল সহজ বোকা লোকদেরকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানো হয়েছে।
ইসলাম ধর্মের প্রার্থনা পদ্ধতিটি কোন একেশ্বরবাদী ধর্ম হতে উৎপত্তি হয়নি । কারণ বলা হয়ে থাকে নবী ইব্রাহিম মুর্তি উপাসনার বিরোধী ছিলেন এবং তিনি মূর্তি ভেঙ্গেছেন।
ইসলাম ধর্মের প্রার্থনা পদ্ধতিটি যদি হযরত ইব্রাহিম হতে উৎপত্তি হতো তাহলে সেখানে কোন মূর্তির অস্তিত্ব থাকত না ।
ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে মূর্তি উপাসক প্যাগানরা চন্দ্র দেবতা আল্লাহর তিন কন্যা আল মান্নাত, আল উজ্জা, আল লাত এর প্রার্থনা করত।তারা লাত দেবীকে সামনে রেখে প্রার্থনা করত। সূরা আন- নাজম, আয়াত -২০ এর তাফসির থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায় ।
এ কথা মুশরিকদেরকে তিরস্কার করে বলা হচ্ছে যে, এই হল আল্লাহর মাহাত্ম্য, যা উল্লেখ হয়েছে। তিনি হলেন জিবরীল (আঃ)-এর মত মহান ফিরিশতার স্রষ্টা। মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর মত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষটি হল তাঁর রসূল। তাঁকে তিনি আসমানে ডেকে নিয়ে স্বীয় বড় বড় নিদর্শনসমূহ প্রদর্শন করেন। তাঁর উপর অহীও অবতীর্ণ করেন। বল তো, তোমরা যেসব উপাস্যের উপাসনা কর, তাদের মধ্যেও কি এই বা এই ধরনের গুণাবলী আছে? এই কথার ভিত্তিতে আরবের প্রসিদ্ধ তিনটি প্রতিমার নাম উদাহরণ স্বরূপ উল্লেখ করেছেন। لاَتٌ (লাত) কারো কারো নিকট এটা الله থেকে উদ্ভূত। আবার কারো নিকট এটা لاَتَ يَلِيْتُ থেকে উদ্ভূত। যার অর্থ ফিরানো। পূজারীরা তাদের গর্দান তার দিকে ফিরাতো এবং তার তাওয়াফ করত তাই তার এই নাম হয়ে যায়।
জাহেলিয়্যাতের যুগে ‘আউস ও খাযরাজ’ গোত্রের লোকেরা এখান থেকেই ইহরাম বাঁধত এবং ঐ মূর্তির তাওয়াফও করত। (আয়সারুত তাফাসীর ও ইবনে কাসীর) ।
এছাড়াও মনিচাইজম এর অনুসারীরা মুসলমানদের ন্যায় নামাজ এবং দোয়া করত। অগ্নি উপাসক জরথুষ্ট মতবাদের অনুসারীরা মুসলমানদের নির্ধারিত সময় মোতাবেক দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত প্রার্থনা করত।
নিচে প্রত্নতাত্ত্বিকবিদদের আবিষ্কৃত প্রার্থনারত মূর্তির ছবি প্রদান করা হল।