চটি বই বা বন্ধুদের কাছ থেকে নারী বা পুরুষের যৌন মনস্তত্ব সম্বন্ধে স্টেরিও টিপিক্যাল এবং শভেনিস্ট দৃষ্টিভঙ্গী পাওয়া যায়, কিন্তু কিছু অতিরঞ্জন বাদে যৌন শিক্ষার বায়োলজিক্যাল দিকটা ভুল বর্ননা করা হয় বলে মনে হয়না। বয়োসন্ধিতে যৌনতার ব্যাপারে কৌতুহল এর পেছনে নিষিদ্ধ আনন্দটাই মুখ্য। এই আনন্দ বাদ দিলে নিরস ফ্যাক্ট দিয়ে শিক্ষার কাজ চালানো মুশকল। তাই যৌন সাহিত্য বা মুভির গুরুত্ব কম নয়।
বায়োলজিক্যাল পাঠ্য বইয়ে শারীরবৃত্তীয় খুটিনাটি লেখা থাকে, কিন্তু বিপদ এড়ানো বা মাসিক এর প্রস্তুতি সম্বন্ধে এক লাইন ও লেখা থাকেনা, অন্তত আমাদের সময়ে পাইনি। ডিম্বানু কখন ফ্যালোপিয়ান টিউব থেকে বের হয় আর কতদিনের মাথায় ঝরে পড়ে – এটা জেনে একটি কিশোরীর কি লাভ যদি ঋতুচক্রের ব্যাথার সময় করনীয় কাজের একটি লিস্ট তাকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা না হয়? কোটিতে একটি শুক্রানু সাতরে ডিম্ব নিষিক্ত করে থাকে জেনে উল্টো বরং সতর্কতায় ঢিলে দিতে পারে।
বায়োলজি ক্লাস/সিলেবাস সেক্স এডুকেশনের একটি অংশ মাত্র, কিন্তু উপরে যে বিষয় গুলো বললাম, তা স্পেশালাইজড ‘সেক্স এডুকেশন’ নামক সাবজেক্ট ছাড়া অন্য কোন বিষয়ের মাধ্যমে পড়ানো সম্ভব নয়।
এনাটমি, সুরক্ষা এবং কনসেন্ট – যৌন শিক্ষার এই তিনটি বিষয় সম্পূর্ন আলাদা কিন্তু অপরিহার্য। চটিকে যেমন পুরো ব্লেম দেয়া যায়না, তেমনি সিলেবাস ও পুরো বিষয়টা কাভার করতে পারেনা। সেই কারনে আমার কাছে চটি, বন্ধুদের সোর্স বাদ দিয়ে পাঠ্যপুস্তকের যৌনশিক্ষার উপর অত্যধিক আস্থা অতি সরলীকরন মনে হয়।