সৌদি আরবে ভাস্কর্য আছে কিনা, ইরাক ইরান তুরস্কে ভাস্কর্য আছে কিনা আমরা দেখতে যাবো না। বাংলাদেশে ভাস্কর্য আছে, থাকবে। ভাস্কর্য আর মূর্তি আলাদা কিনা সেটিও দেখতে যাবো না। এদেশে ভাস্কর্য কিংবা মূর্তি আছে থাকবে। ইসলামধর্মে এ নিয়ে কি বলা হয়েছে সেটিও কোনো জাতীয় বিষয় না, ব্যক্তিগত বিষয়। কারণ বাংলাদেশের কোনো ধর্মগ্রন্থের আইনে চলে না। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এই ধর্মনিরপেক্ষতার স্বরূপ কেমনঃ রাষ্ট্রীয় ধর্মনিরপেক্ষতার মূল কথাটি হলো: খাঁটি মুসলমান, খাঁটি হিন্দু, খাঁটি খ্রিস্টান বা খাঁটি বৌদ্ধ তৈরি করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের নয়। তার দায়িত্ব সুনাগরিক তৈরিতে সাহায্য করা। রাষ্ট্রচর্চা একটি সম্পূর্ণ ইহলৌকিক ব্যাপার যার সঙ্গে ধর্মকে জড়িত করা বিপজ্জনক।’
এদেশের মুসলমানরা তাহলে কি নিয়ে ভাবতে পারেন? ইসলামধর্মে ঘুষ নিয়ে কি বলা হয়েছে, দুর্নীতি নিয়ে কি বলা হয়েছে, খুন-ধর্ষণ-মিথ্যাচার, জুলুম, নারীনির্যাতন, বিচারহীনতা, ওজনে কম, খাদ্যে ভেজাল এসব নিয়ে কি বলা হয়েছে সেগুলো নিয়ে তারা ভাবতে পারেন। কিন্তু ভাববে কি? মসজিদের দেশ, মাদরাসার দেশ, হাজীর দেশ, প্রায় নব্বইভাগ মুসলমানের দেশ বিশ্বে দুর্নীতিতে ঘুষে ধর্ষণে চ্যাম্পিয়ন পর্যায়ে আছে অনেক বছর ধরে, মাদরাসাতেও নিরাপদ না শিশুরা। ভাস্কর্য কি এদেশের মুসলমানের কাছে এতই আর্জেন্ট বিষয় হয়ে গেল?? বাউল শিল্পীরা এতই থ্রেট হয়ে গেল দেশে ইসলামি নীতি-নৈতিকতা, আকিদা বাস্তবায়নের পথে??
সুফিয়া খান