শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Uncategorized

শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর দেওয়া ধন্যবাদ ও অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রকারীরা এটা ঠেকাতে সমালোচনা ও ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত রয়েছে।
‘তবে সততার সঙ্গে কাজ করলে এই সব ষড়যন্ত্রে কাজ হয় না। জনগণ এর জবাব দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিএনপিকে কথা বলার সুযোগ দিতে বলেন। তিনি বলেন, ‘তাদের কথা বলতে দিন। না হলে তাদের কথা পেটের মধ্যে জমা হয়ে গুটুর গুটুর করবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি যখন একটা দলের নেতা, স্বাভাবিকভাবে তাদের ওপর মানুষের আস্থা থাকে না, বিশ্বাস থাকে না। মানুষ এখন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সেবা পাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে; দেশের মানুষের কল্যাণ হচ্ছে।
‘স্বাভাবিকভাবে মানুষের আস্থা-বিশ্বাস আওয়ামী লীগ অর্জন করেছে, যার প্রতিফলন দেখলাম স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে। মানুষ এখন আন্তরিকভাবে ভোট দিচ্ছে।’
বিএনপির উদ্দেশে সংসদ নেতা বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় থাকতে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত, ৫ বার সারা বিশ্বে দুর্নীতিতে এক নম্বর; দুর্নীতির দায়ে, এতিমের অর্থ আত্মসাতের দায়ে যাদের কারাবরণ করতে হয়। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারির মামলা, গ্রেনেড হামলা করে প্রকাশ্যে দিবালোকে বিরোধী দলকে হত্যা বা আমাকে হত্যার প্রচেষ্টার মামলা– এসব মামলায় যারা সাজাপ্রাপ্ত, এরা যখন কোনো দলের নেতৃত্বে থাকে সেই দল জনগণের কাজ করবে কীভাবে?
‘তারা যতই বক্তৃতা দিক আর কথাই বলুক, এই ধরনের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি যখন একটা দলের নেতা, তার ওপর মানুষের আস্থা থাকে না, বিশ্বাস থাকে না। তাদের ওপর আর সেই বিশ্বাস-আস্থাটা নাই। আস্তে আস্তে সেই জায়গাটা থেকে সরে গেছে।’
নির্বাচনগুলোতে ভোট কারচুপি হয় না দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিচ্ছি। সেখানে ভোট নিয়ে কারচুপি করার কোনো সুযোগ নাই। যার যার ভোট সে নিজে দিচ্ছে। এখন আর ‘১০টা হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা’ সে পদ্ধতি নাই।”
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে নির্বাচন মানে কী ছিল? সবাই জানে। যাদের গায়ে হাজার কালির ছিটা তারা আবার এত বড় কথা বলে মুখে।’
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ছোটখাটো দুই-একটা ঘটনা ছাড়া অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে, সুন্দরভাবে জনগণ ভোট দিয়েছে। ভোট দেওয়ার আগ্রহ মানুষের মাঝে আমরা লক্ষ করেছি। সে জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ। তারা সঠিকভাবে একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে তাদের মতামতটা প্রকাশ করেছে।’
করোনাভাইরাস আরও একটু নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

‘করোনা নিয়ন্ত্রণে’
সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। আরও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারবে।’
করোনার টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিনের যখন গবেষণা শুরু হয়, তখনই আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলাম কারা কারা গবেষণা করছে আগে থেকে ঠিক করে রাখার। ভ্যাকসিন বাজারে এলেই আমরা কিনব। এর জন্য আমরা এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে রাখি। যখনই বাজারে আসে তখনই ক্রয় করি।’
তিনি বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকে কথা বলেছিলেন। আসলে ভ্যাকসিন এসে নিজেই তার উত্তর দিয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমরা ক্রয় করেছি। এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর খারাপ কোনো রি-অ্যাকশনের কথা শোনা যায়নি। তারপরও আমরা মনিটর করছি।
‘৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। এ নিয়ে দেশে প্রশংসা শুনিনি। কিন্তু জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করেছেন।’

সুব্রত ঘোষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *