শরীরে আঁচিল বা টিউমার? ক্যানসার নয় তো?

Uncategorized
শরীরে আঁচিল বা টিউমার? ক্যানসার নয় তো?
শরীরে টিউমারের মতো কী যেন একটা হয়েছে! ব্যথাহীন লাম্প থেকে ক্যানসার ছড়াচ্ছে না তো? সাতপাঁচ ভেবে আতঙ্কিত হবেন না৷ শরীরের কোনো অংশে টিউমারের মতো ফোলা মাংসপিণ্ড দেখা দিলেই আঁতকে ওঠার কিছু নেই৷ তেমনই অবহেলাও করবেন না৷ ফেলে রাখবেন না৷ চিকিৎসকের পরামর্শমতো পরীক্ষা করিয়ে রোগ শনাক্ত করুন৷
বেনাইন ও ম্যালিগন্যান্টঃ
টিউমার দু’ধরনের হয়৷ বেনাইন এবং ম্যালিগন্যান্ট৷ অনেক সময় জন্ম থেকে অথবা ছোট বয়স থেকে শরীরের কোনো অঙ্গে বেনাইন টিউমার থাকে৷ এতে ভয়ের তেমন কোনো কারণ নেই৷ বেনাইন টিউমারে ক্যানসারের প্রবণতা থাকে না৷ এটি যে স্থানে হয় তার চারপাশের কোষ অথবা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না৷ কিন্তু বেনাইন ক্যানসারও গুরুতর হতে পারে যদি সেটি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে যেমন রক্তের কোষে অথবা স্নায়ুতে হয়ে থাকে৷ অনেক সময় আবার বেনাইন টিউমারের চিকিৎসারও দরকার হয় না৷
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার প্রাথমিক পর্যায়ে সারিয়ে ফেলা যায়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একবার টিউমার বের করে দিলে পুনরায় তা ফিরে আসার সম্ভাবনা কম৷ ম্যালিগন্যান্ট টিউমার থেকেই ক্যানসার হয়৷ এই ধরনের টিউমারগুলি ধীরে ধীরে তার চারপাশের কোষ এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে৷
টিউমার থেকে ক্যানসার বুঝবেন কীভাবে?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার থেকেই ক্যানসার হয়৷ ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে কোষ বিভাজন হয়৷ টিউমারের আকৃতি বাড়তে দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের মতামত নিন৷ কোনও জায়গায় চোট পেলেও অনেক সময় ফোলা বা কাটা জায়গা থেকে ক্যানসার হতে পারে৷ অনেক ধরনের ক্যানসার ত্বকের মাধ্যমে অনুভূত হয়৷
এই ক্যানসারগুলি প্রধানত স্তন, অণ্ডকোষ বা শুক্রাশয়, নিঃসারক গ্র‌ন্থি এবং শরীরের নরম কলাগুলিতে বেশি দেখা যায়৷ টিউমার বা যে কোনও ধরনের ফোলা মাংসপিণ্ড ক্যানসারের প্রাথমিক অথবা শেষ পর্যায়ে হতে পারে৷ আপনি যদি এর আকার বাড়তে দেখেন তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করান৷ প্রাথমিকভাবে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে কোনও ব্যথা অনুভূত হয় না৷ ফলে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের প্রাথমিক পর্যায়ে সেভাবে কোনও নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা না গেলেও কিছুদিনের মধ্যে ওজন হ্রাস, অ্যানিমিয়া ইত্যাদি লক্ষণ চোখে পড়ে৷ যতই সেই ক্যানসার আক্রান্ত টিউমারের আকৃতি বাড়তে থাকে, ততই তা আশপাশের স্নায়ু এবং পেশিগুলিতে চাপ দেয়৷ আর তখনই ব্যথা বা যন্ত্রণা অনুভূত হয়৷
ক্যানসারের উপসর্গ:
১) ফুসফুস ক্যানসার: শুকনো বা দীর্ঘদিনের কাশি, কাশতে কাশতে প্রায়ই কফের সঙ্গে রক্ত বেরনো, বুকে ব্যথা, ওজন হ্রাস, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি৷
২) লিম্ফোমা ক্যানসার: লসিকার আকৃতি বৃ‌দ্ধি, দুর্বলতা, ওজন হ্রাস৷
৩) স্তন ক্যানসার: স্তনে টিউমার বা মাংসপিণ্ড, স্তনবৃন্ত থেকে রক্ত নিঃসরণ, স্তন ও স্তনবৃন্তের আকার এবং ধরনের পরিবর্তন৷
৪) প্রস্টেট ক্যানসার: সাধারণভাবে প্রস্রাবে সমস্যা হলেও কখনো কখনো কোনো উপসর্গই বোঝা যায় না৷ তবে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়৷
৫) বোসাল সেল ক্যানসার: মূলত মুখ এবং গলার মতো যেসব অংশে সূর্যের আলো পড়ে এমন জায়গায় একটি সাদা টিউমার অথবা বাদামি রঙের ছোপ দাগ দেখা যায়৷
৬) মেলানোমা স্কিন ক্যানসার: শরীরের যে কোনও অংশে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি অথবা শরীরের কোনো আঁচিলের আকারের পরিবর্তন৷
৭) কোলন ক্যানসার: এটি ক্যানসারের স্থান এবং আকৃতির উপর নির্ভর করে৷ সাধারণত মলত্যাগে সমস্যা, মলের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া এবং পেটে অস্বস্তি বোধ হওয়া৷
৮) ‌লিউকিমিয়া: ধীর গতিতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত এই ক্যানসারের রোগীদের অনেক সময় কোনো উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায় না৷ দ্রুত বৃ‌দ্ধি পেলে দুর্বলতা, ওজন হ্রাস, সহজে রক্তক্ষরণ, মাথাব্যথা, ঘাম হওয়া, অনবরত শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হওয়া, নিশ্বাসে কষ্ট, ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়ি ইত্যাদি৷
৯) এছাড়া ম্যালিগন্যান্ট টিউমার থেকে আরও বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার হতে পারে৷ তবে সাধারণভাবে হঠাৎ করে খিদে কমে যাওয়া, ওজন হ্রাস, রক্তাল্পতা, মলের সঙ্গে রক্ত ইত্যাদি যে কোনও কিছু ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে৷ মহিলাদের ক্ষেত্রে এইচপিভি ভাইরাস থেকে জরায়ুর ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে৷ তাই এই ধরনের কোনো উপসর্গ শরীরে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷
ক্যানসার রোধের জন্য:
১) তামাক জাতীয় দ্রব্য বর্জন করুন৷
২) স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাত্রা মেনে চলুন৷
৩) গ্রিন টি পান করুন৷
৪) খাদ্যতালিকায় পিঁয়াজ, রসুন রাখুন৷
৫) দীর্ঘদিনের সংরক্ষণ করে রাখা খাবার বর্জন করুন৷
৬) প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করবেন না৷
৭) নির্দিষ্ট বয়সে মহিলাদের এইচপিভি ভাইরাসের টীকা নেওয়া৷
৮) কোনো ধরনের অসুবিধা হলে প্রতি মাসে মহিলাদের নিয়মিত ব্রেস্ট ক্যানসার হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা উচিত৷
অল্পসময়ে আঁচিল ও টিউমার সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য আধুনিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন।
ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট বা এজমা, স্পন্ডালাইটিস, জয়েন্ট ও মাসেলের ব্যাথা, দীর্ঘ সময়ের কাশি, স্ত্রীরোগ (ইনফার্টিলিটি, ইরেগুলার পিরিয়ড, সাদা স্রাব, জরায়ুর টিউমার, ওভারিয়ান সিস্ট), নাকের পলিপস, সাইনাস ও মাইগ্রেন জনিত মাথাব্যথা, মুখের ভ্রন, আচিল-টিউমার, চর্ম-যৌন রোগ, পাইলস-ফিশার, গলব্লাডারের পাথর, লিভার ও কিডনি রোগ, গ্যস্টিক-আলসার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য রোগের সুচিকিৎসা দিয়ে থাকি।
**চিকিৎসায় আমি “ইউরোপ স্টেন্ডার্ড” অর্জিনাল জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের মেডিসিন ব্যবহার করি।
আপনি চাইলে দেশের যেকোন স্থান থেকে অনলাইনে বা ফোন কলের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন। ঢাকার বাইরে ১২ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রেসক্রিপশন সহ ঔষধ পাঠিয়ে দেয়া হয়। আর, ঢাকা সিটির মধ্যে ১ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে বাসায় প্রেসক্রিপশন সহ ঔষধ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা আছে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডাঃ অসীম দত্ত (অনির্বাণ)
BHMS (DU) 1st Class, BHS (Up)
Regestation no: H-845 (DG Health)
Sr. Lecturer (Homeopathic), Department of Homeopathic Medicine (MM).
Govt. Homeopathic Medical College & Hospital, Mirpur- 14, Dhaka.
বাসা ও চেম্বারঃ গ্রীনরোড এরিয়া, ধানমন্ডি, ঢাকা।
কল দিনঃ +8801712-797250 (WhatsApp also)
মেসেঞ্জারঃ Asim Datta Anirban 
আমার পেইজঃ Dr. Asim Datta – Anirban

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *