সংশোধিত হিন্দু পারিবারিক আইন

Uncategorized
সংশোধিত “হিন্দু পারিবারিক আইন” ( হিন্দু নারীর পিতার সম্পত্তিতে অধিকার ) যদি বাস্তবায়ন হয় এবং( আমার দিদি আছে) আমার বোনকে যদি পৈতৃক সম্পত্তির অংশীদার করতে হয় তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি তা দিতে রাজি আছি।(একই সাথে আমার মায়ের প্রাপ্য অংশটুকু মামাবাড়ি থেকে আদায় করতেও লড়াই করব 😂। মামাতো ভাইয়েরা কেউ এই পোস্ট দেখলে কিছু মনে নিস না। আমি তোদের টায় ভাগ বসাতে যাব না।🙏🏽)
কিন্তু সামগ্রীকভাবে এই আইনের আগে-পিছে ভাববার দরকার আছে এবং তা হিন্দু সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে।
হিন্দু আইন পরিবর্তনের ফলাফল কি হতে পারে তার একটা সম্ভাব্য ইঙ্গিত দেওয়া হল:
১. আপনার মেয়ে আপনার মুখে চুনকালি মেরে এক বিধর্মীর হাত ধরে চলে যাবে, তারপর আপনার নিকট আসবে তার সম্পত্তির ভাগ চাইতে।
২. আপনার ছেলে যদি তার বোনের সম্পত্তির অংশ (প্রকারান্তে তার নিজের পিতার সম্পত্তি) কিনে রাখতে অসমর্থ হয়, দু’দিন পর আপনার মেয়ে তার ভাগ এক বিধর্মী কাছে বিক্রি করে দিবে। কয়েকদিন পর আপনার ছেলেরও আপনার ঘরে বসবাস শেষ! 
৩. অসংখ্য ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে টান পড়বেই। অসংখ্য ছেলেমেয়ের থাকবেনা দাদু বাড়ি (মামাবাড়ি)।
৪. সম্পত্তির লোভ আপনার মেয়ের না থাকলেও জামাই বা তার পরিবারের লোকদের থাকতে পারে। ফলে জামাই বাড়িতে আপনার মেয়ের নির্যাতনের নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে। 
৫. সাংসারিক অপ্রাকৃত ভালোবাসা কমে যাবে। কারণ আপনার জামাই আপনার মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করবে না, বিয়ে করবে আপনার সম্পত্তি।
৬. অন্যান্য ধর্মের মতো ডিভোর্স বেড়ে যাবে (অবশ্য অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা এটাই চাচ্ছে, কারণ আমাদের পারিবারিক বন্ধন তাদের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে)। কারণ স্বামী স্ত্রী মাঝে একটু কলহ হলেই বাপের সম্পত্তির জোরে স্ত্রী একটা খারাপ সিদ্ধান্ত নিতে দু’বার ভাববেন না। 
৭. আপনার সম্পত্তির লোভে আপনার বিবাহিত মেয়ের পিছনেও অনেক ভূত প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াবে এবং তাকে ফুসলিয়ে খারাপ চিন্তায় বাধ্য করতে পারে।
৮. আপনার জায়গার পরিমাণ কম হলে আপনার ছেলে তার বোনকে ভাগ দিয়ে দেখা যাবে নিজের অংশে একটা ঘর তুলতে পারছেনা, কারণ জায়গা অনেক কম (শহর এলাকায় এটি হবে)। অপরদিকে, আপনার লোভী মেয়েটা তার অংশটুকু পাশের এক বিধর্মীর কাছে বিক্রি করে দিয়ে চলে গেল। আপনার ভিটায় লালবাতি!
৯. সম্পত্তির লোভে কিছু অকর্মা ছেলে আপনার ভোলা ভালা মেয়েটার পিছনে লাইন মেরে তাকে ভাগিয়ে বিয়ে করে ঘর জামাই থাকবে, এতে অবশ্য অকর্মার অন্নসংস্থান হবে। কিন্তু হারবেন আপনিই।
১০. হিন্দু অনাথ শিশুতে ভরে উঠবে সনাতনী সমাজ। কারণ মেয়েদের সম্পত্তি ভাগিয়ে অনেক স্বামীই নতুন রমণী নিয়ে আসবেন, অন্যদিকে ওই নারী সম্পত্তি নিয়ে ইতোমধ্যে বাপের বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেছেন। ফলে তার আর মাথা ঠেকানো জায়গায় থাকবেনা। ফলশ্রুতিতে তাকে হয় মরতে হবে, নতুবা রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হবে। এই একটি কারণেই কলকাতায় তৈরি হয়েছে সোনাগাছি! কিন্তু আমাদের দেশে দেখুন, আজও অসংখ্য বিধবা নারী বাপের বাড়িতে ভাইয়ের পরিবারে সম্মানের সহিত আছেন। ঢাকার শহরে রাস্তায় দেখুন তো কয়টা হিন্দু ছিন্নমূল শিশু আছে, পতিতালয়ে কয়টা হিন্দু নারী আছেন! সুতরাং
হিন্দু সাবধান!!!
🎯এখন  কিছু বিশেষ প্রেক্ষাপটের কথা বিবেচনা করা যাক যেসব ক্ষেত্রে আইন করে হিন্দু নারীদের উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতেই হবে।
 বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা/ডিভোর্স, চিরকুমারী নারীদেরকে তাদের ন্যায্য উত্তরাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে 
১.বিধবাদের বেলায় স্বামীর সম্পত্তির পূর্ণ উত্তরাধিকার দিতে হবে স্ত্রীকে। তবে শর্ত থাকে মৃত স্বামীর সম্পত্তি গ্রহণ করে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবে না। বিধবার যদি সন্তান থাকে এবং ২য় বিয়ে করতে চায় তবে পূর্বের স্বামীর সম্পত্তির  অধিকার ঐ সন্তানেরা পাবে, স্ত্রী পাবে না।
২.স্বামী পরিত্যক্ত/ডিভোর্স নারীর ক্ষেত্রেঃ
ক)পারস্পরিক বিচ্ছেদের (ডিভোর্স) ক্ষেত্রে, স্ত্রী স্বামীর কোন সম্পত্তি/ভরণ-পোষণ পাবেন না। এমতাবস্থায় যদি কোন দম্পতির এক বা একাধিক সন্তান থাকে তাহলে ঐ সন্তানরা স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সন্তানদের ভরণ-পোষণ দিবে। সন্তানদের কাস্টডি সন্তানদের ইচ্ছার উপর নির্ধারিত হবে।
খ) স্বামী কতৃক পরিত্যক্ত হলে অর্থাৎ স্বামী হঠাৎ করে  অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিরুদ্দেশ হলে এবং অনধিক ৩ (তিন) বছরের জন্য স্ত্রী/স্ত্রী-সন্তানদের খোঁজ খবর না নিলে ঐ স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তির অংশীদারী হবেন।
৩.চিরকুমারী নারীর ক্ষেত্রেঃ পৈত্রিক সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। 
🎯বিশেষ করে আইন করতে হবে যাতে কোন বিয়েতেই যৌতুক লেন-দেন না করা হয়।
এবং ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে কেউই ধর্মান্তরিত হলে পৈতৃক/স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন।
আপনাদের কী মতামত? কমেন্টে জানান।🙏🏽
[ ওহ! ছবিতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে এঁরা সবাই বিশিষ্ট মান ভো দা সে বী ! হে ন দু দরদী!!!🙈🙊🙉]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *