অনেক দিদিরা নিচের পোস্টটা বিভিন্ন গ্রুপে দিচ্ছে এবং প্রচার করছেন। তখন রেফারেন্স জানতে চাইলে উনার কীর্ত্তন শুনতে বলেন। আমি শুনে দেখলাম উনি ঠিক তাই বলছেন।
আমি এর সত্যতা জানতে চাই! কারো জানা থাকলে বলবেন কি কোন গ্রন্থে এমন উল্লেখ আছে?
আর এটা যদি নিছকই কাহিনী হয়ে থাকে প্রকৃতপক্ষে আমরা কেন সন্ধ্যা প্রদীপ দেই?
🥀সন্ধ্যা প্রদীপ কেন দেওয়া হয়?
🥀সন্ধ্যা ব্রহ্মার মেয়ে। ব্রহ্মার অনেকগুলো ছেলে ছিল, তার মধ্যে একজন হলো কামদেব মদন। কামদেব মদনের বিয়ে হয় রতির সাথে।বিয়ে হওয়ার সময় কামদেব মদন ব্রহ্মাকে বললেন -পিতা আমার বিয়েতে যৌতুক দিবেন না?
🥀-তখন ব্রহ্মা বললেন আমার তো যৌতুক দেয়ার মত কিছুই নাই। তবে আমার কাছে পাঁচটা বান আছে, এই নে তোকে আমি পাঁচটা বান দিয়ে দিলাম।
-কামদেব মদন বললেন পিতা আমি পাঁচটা বান দিয়ে কি করব?
-🥀ব্রহ্মা বললেন তুই এই বান যার ওপর নিক্ষেপ করবি সে কাম বানে জর্জরিত হয়ে যাবে।
-কামদেব মদন বললেন এখানে তো কেউই নাই আমি কার উপর বান নিক্ষেপ করে পরীক্ষা করব, তোমার উপরে নিক্ষেপ করি।
– 🥀ব্রহ্মা চিৎকার করে বললেন আমার দেওয়া বান তুই আমার ওপর নিক্ষেপ করিস না।
কামদেব মদন না শুনে বান নিক্ষেপ করে। তখন ব্রহ্মার পাশে ছিল ব্রহ্মার রূপবতী মেয়ে সন্ধ্যা।সন্ধ্যার গায়ের রঙ ছিল কাঁচা স্বর্ণের মতো মত। যেই কামবান গিয়ে ব্রহ্মার শরীরে লাগলে ব্রহ্মা কামবানে জর্জরিত হয়ে যায় এবং তার মেয়ে সন্ধ্যার দিকে ধাবিত হয়। ফলে সন্ধ্যার শরীল কালো হয়ে যায়।
🥀-তখন সন্ধ্যা বললেন পিতা তুমি এটা কি করলে,তোমার কামনার চোখে আমার শরীর কালো হয়ে গেল।
– 🥀ব্রহ্মা বললেন আমার কোন দোষ নেই,,, সব দোষ কামদেব মদনের।
-🥀তারপর ব্রহ্মা বললেন মা আমি তোকে আশীর্বাদ দিচ্ছি,, পৃথিবীতে যখন সূর্য ডুবে যাবে, চারদিকে অন্ধকার নেমে আসবে তুই সন্ধ্যা রূপে প্রতিটি নারীর বাড়িতে যাবি, যেই কুলবতী নারী সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বালিয়ে তোর অন্ধকার দূর করবে, তার ভেতরের অন্ধকার তো দূর হবেই,,,, তার সংসারের সকল অন্ধকার দূর হবে।
🥀হরে কৃষ্ণ 🙏🙏