🌹সম্পত্তি, নারী ও হিন্দু সমাজ/ সবে মিলে করি কাজ হারি- জিতি নাহি লাজঃ
কয়েকদিন ধরে দেখছি হিন্দু মেয়েদের সম্পত্তি পাবার অাইন নিয়ে পক্ষে -বিপক্ষে অনেক কথা, তর্ক ও ঝগড়া হচ্ছে কিন্তু কেন? অামরা সবাই হিন্দু কিন্তু সেই অামরা সবাই অাবার একটা বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করে ফেসবুকে নিজেরা নিজেদের অাঘাত করছি।
১/ অন্য ধর্মের মানুষেরা নিজের ধর্ম রক্ষার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুুত। কিন্তু অামরা কয়জন প্রস্তুুত? অামাদের হিন্দু মেয়েদের কত সহজেই পারে অন্য ধর্মে কনভার্ট করতে। কি শিক্ষা দেই অামরা যে ২ দিনে একটা লোক সেটাকে মিথ্যা প্রমাণ করে তাদেরকে সত্য বলে জাহির করতে পারে?
২/ ভালোবাসা না শুধু ধর্মের জন্য হিন্দু মেয়েদের কনভার্ট করা হয় এবং বাচ্চা দিয়ে তাদের রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়। সেই মেয়েগুলোর যাবার জায়গা থাকে না বলে তাদের কথা মত চলতে হয়। এরপর যখন হিন্দু মেয়েদের সম্পত্তি দেওয়া হবে তখন তো অন্য ধর্মের ধার্মিক মানুষগুলো নারী, পূণ্য ও অর্থের জন্য পাগলা কুকুর হয়ে যাবে তখন কিভাবে রক্ষা করবো অামরা নিজেদের মেয়ে ও বোনদের?
৩/ অন্য ধর্মে সন্তানদের ধর্ম শিক্ষার জন্য ৩ বছর বয়স থেকে শিক্ষক রাখা হয়। অার অামরা কি শিক্ষা দেই যে অন্য ধর্মের মানুষের কয়টা প্রশ্নের জবাব দিতে না পেরে ঐ ধর্মকে সত্যি মেনে তাদের হাত ধরে পালিয়ে যায়?
৪/ অামাদের বাচ্চারা রক্ত দেখে ভয় পায়। অন্য ধর্মে ছোট বেলা থেকে রক্ত দেখিয়ে সাহস ও বড় বুকের পাটা তৈরি করা হয়। অামরা গীতার শিক্ষাই ভুলে গেছি যে ধর্ম স্থাপনের জন্য স্বয়ং ভগবান শ্রী কৃষ্ণ কত রক্ত ঝড়িয়ে ছিলেন। অার এখন অামরা শিখছি যে যা বলুক যত অত্যাচার করুক চুপ করে লেজ গুটিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হবে। না পালিয়ে ও বা উপায় কি অামরা এক হিন্দু বিপদে পড়লে অারেক হিন্দু গিয়ে হয় দরজা বন্ধ করবে নাহলে ঐ শক্তিশালি দলের সাথে জোট বাধবে। কেননা অাপনি বাঁচলে বাপের নাম কিনা।
৫/ অামাদের হিন্দু সমাজে নারীদের যতটা স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে অন্য কোনো ধর্ম তা দেয় নি। অামাদের ধর্মে নারীকে দূর্গা,লক্ষ্মী ও সরস্বতি রূপে পূজা করা হয় অন্য কোনো ধর্মে না। অামরা নরীরা সংসারের জন্য কাজ করি স্বামী সন্তানের সেবা করি নিজের সুখের জন্য। কারণ, তাদের হাসি মুখই অামাদের সুখ।
৬/ নারী এত সম্পত্তির দরকার হলে সেটা অবশ্যই স্বামীর সম্পত্তি পাওয়া জরুরি। তাহলে স্বামী মারা গেলে স্ত্রীরা সন্তান ও শশুড় বাড়িতে সম্মানের সহিত থাকতে ও বাঁচতে পারবে কারো বোঝা না হয়ে। অার হিন্দু ধর্মে নিজেদের সাবলম্বী হবার পুরো স্বাধীনতা অাছে। নিজেরা সাবলম্বী হয়ে পরিবারের জন্য কিছু করতে পারলে সেটা অারো গর্বের হয়।
৭/ দেশের যেখানে অনাথ অাশ্রম ও মন্দির অাছে সেগুলো টিকিয়ে রাখতে কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয় তা শুধু যাঁরা কাজ করেন তারাই জানেন।
অামাদের উচিৎ নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি না করে একত্রে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করা। এটা হিন্দুদের অস্তিত্বের লড়াই।