সরস্বতী পূজায় সিলেট পুলিশের মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে

Uncategorized

সরস্বতী পূজায় সিলেট পুলিশের মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে :
……………………………………………………………………………

সিলেটে সরস্বতী পূজায় মাইক লাউডস্পিকার ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সিলেট পুলিশ। ব্যক্তিগতভাবে আমি সিদ্ধান্তটিকে অত্যন্ত সময়োচিত একটি সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করছি।  কেননা যেকোনো স্থানে উচ্চমাত্রায় মাইক ,সাউন্ড সিস্টেম. লাউডস্পিকার ইত্যাদির ব্যবহার উক্ত এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ জনগণের মধ্যে অত্যন্ত কষ্টদায়ক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ক্ষেত্রবিশেষে বিরক্তিরও উদ্রেক করে বটে।

এছাড়া উচ্চমাত্রায় সাউন্ড পলিউশন এর ফলে সেই এলাকায় থাকা অসুস্থ এবং বয়োবৃদ্ধ বাসিন্দা গণ এবং রাতজেগে পড়াশোনা করা পরীক্ষার্থী আর শিক্ষার্থীগণও ব্যাপক সমস্যার মুখোমুখি হন।  তাই আমি সিলেট পুলিশের  সিদ্ধান্তটিকে পজিটিভলি দেখছি এবং সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমাদের বাপ-দাদা নানাদের আমলেতো এসমস্ত মাইক সাউন্ড সিস্টেম লাউডস্পিকার ইত্যাদি ছিলোনা।  তাতো পূজার পবিত্রতা নষ্ট হয়নি বা কেউ একটু কম ধর্ম পালন করেনি।  ঢাক ঢোলের শব্দে পূজা বন্দনা করা গেছে শাশ্বত কাল ধরে এই বাংলার ঘরে ঘরে।

কিন্তু সেই সাথে এই প্রশ্নটা কি  উদয় হয় না যে , এইসব  মাইক ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা কী শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের পূজা-অর্চনা ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ? নাকি রাতভর এলাকায় শত শত মাইক বাজিয়ে উত্তেজিত কণ্ঠে বক্তারা যে ওয়াজ মাহফিল করে থাকেন , অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে থাকেন ,  নারীদের নিয়ে কটুক্তি করে থাকেন , সেই সমস্ত ক্ষেত্রে কি শব্দ দূষণ হয় না?  নাকি শব্দদূষণ হয় না রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মিটিং সমাবেশে উচ্চকণ্ঠে “হ্যান কারেঙ্গা ত্যান কারেঙ্গা” করে পুরো এলাকার মানুষের কান ঝালাপালা করে দেয়ার ক্ষেত্রেও ?

এসব নিষেধাজ্ঞা কি “কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?” সেই প্রশ্নটি সবিনয়ে আপনাদের সকলের নিকট নিবেদন করে গেলাম।

এক দেশেতো দুই নীতি চলতে পারেনা। তাইনা????

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *