আজ লিখছি সার্নের দক্ষযজ্ঞ নিয়ে। সুইডেন সুইজারল্যান্ড সীমান্তে মাটির নীচে ৩০ মাইল ব্যাপি যে পৃথিবীর সবচে বিশাল বৈজ্ঞানিক কর্মকান্ড শুরু করেছিলেন বিজ্ঞানীরা, এখন সেই কাজ আরো বিশালতা নিয়ে শুরু করছেন। প্রায় ৬০ মাইলব্যাপি। মাটির নীচে এই পরীক্ষার নাম লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডর। সংক্ষেপে LHC।
আসলে বিজ্ঞানীরা তো প্রমাণ না করে নিশ্চিত কিছু বলেন না। মূল কথা হিগস বোসন কণা আবিষ্কার। এই ব্রম্মান্ডের যা কিছু আমরা দেখি তা সৃষ্টির মাত্র ১০ শতাংশের কাছাকাছি। বাকী ৯০% কই? LHC, এই বিশাল কর্মকান্ড হলো এই কণাদের বের করা। মুশকিল হল, খড়ের গাদায় ছুঁচ খোঁজার মতন কাজ ও তাঁরা করে ফেলেছিলেন, কিন্তু একটা বিগ ব্যাং ঘটানো তো যা তা ব্যাপার নয়। এখন তাই পরিসর বিশাল বিস্তৃত। খরচ ও তেমন। ১৩.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই কাজ যদি একশ শতাংশ সঠিক হয়ে যায়, আলোর গতির চেয়েও বেশি গতি আবিষ্কার হয়ে যায়, সম্পূর্ণ পদার্থবিদ্যা নূতন করে লিখতে হবে।
আর্থিক দিকে বিশাল হলেও প্রতিবছর যুদ্ধখাতে খরচ হয় প্রায় ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সমগ্র বিশ্বের দারিদ্রতা ঘোচাতে মাত্র সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাগে।
তাই, খরচ নিয়ে কথা নয়। বিজ্ঞানীদের কোমর বেঁধে লাগা এই অসামান্য অভূতপূর্ব কাজ সম্পন্ন হোক। আমরা অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছি। শ্রেষ্ঠতম কম্পিঊটার যেন হিগস বোসন কণাদের ধরে রাখতে পারে। কারণ এই কণাদের স্থায়িত্ব কাল মিলি মিলি মিলি মিলি মিলি মিলি সেকেন্ড।
শুভরাত্রি বন্ধুরা। ভাল থেকো সব্বাই।