অনেক খোজাখুজির পর জনপ্রিয় এই মুক্তিযোদ্ধার ২য় ছবি পাওয়া যায়, ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে তার জীবনে ঘটে যাওয়া নির্মম করুন কাহিনি।
সিলেটের জকিগঞ্জের এই তরুণ মুক্তিযোদ্ধার নাম জহর সেন। তিনি কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রথম যুদ্ধ করেন, পরে হবিগঞ্জের বাহুবলে। এখন তিনি থাকেন ভারতের আসামের করিমগঞ্জে। তিনি একাই ১৭ জন পাকসেনা ও দুই আলবদর মেরেছিলেন। যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন তার কাজিন রেপ হয়েছে, তাঁর বাবা মাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিতে যাননি। ৭৫ এর পরে তার ওপর নেমে আসে নির্যাতনের স্টিম রোলার, অনেক নির্যাতনে শেষে দেশে নিরাপদ বোধ না করায় ‘৯০ এ ভারত চলে যান। শুধু নিরাপত্তার অভাবে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজের হাতে স্বাধীন করা দেশে থাকতে পারেননি, এ বেদনার, লজ্জার। এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দেশে ফিরিয়ে এনে পূর্ন রাষ্ট্রিয় সন্মান প্রদানের দাবী জানাই।।
(তথ্যসূত্র: মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর পিএস সালেকউদ্দিনের লেখা বই ‘সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ’। এছাড়া দেবদুলাল মুন্না নিজেও উনার সাথে ৮৮ সালে দেখা করেন। ‘প্রিয় প্রজন্ম’ ম্যাগাজিনে সেটার একটা ইন্টারভিউ ছাপা হয়েছিল।)
একাত্তরের এপ্রিলে কুষ্টিয়ায় তোলা ছবি এটি।
ছবি: অ্যান ডি হেনিং (ফ্রান্স)
(সংগৃহিত) কার্টিসিঃ- Mamun Reza ভাই।