স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন / অামি একজন নারী বলছি

Uncategorized
🌹স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন / অামি একজন নারী বলছিঃ
🦕🌺অামাদের দেশে অন্য ধর্মে বিয়ের সময় কয়েক লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে মেয়েদের ঘরে বৌ করে অানতে হয়। সেই স্বামী যদি স্ত্রীকে ছাড়ে তাহলে পুরো টাকা দিয়ে ছাড়তে হবে এবং ঐ মেয়ে ছাড়াছাড়ির পরও অর্থনৈতিকভাবে সবল থাকবে। অার অামাদের বাবারা মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে ভিটা মাটি ও বিক্রি করে দেয়। তবুও অাজ অমরা তাদেরই অপরাধি বানাচ্ছি।
🌺 মুচি,ধোপা, কুমোর নিম্ন অায়ের এই মানুষগুলোর বেশিই হিন্দু। তাঁরা দিনে কয় টাকা রোজগার করে কিন্তু তাদের ও মেয়েদের বিয়ে দিতে ১০ জনের কাছে হাত পাততে হয় কেন? 
🌺  মুসলিম মেয়েরা বাবার সম্পত্তি এমনই পায়। তাইতো তাদের বিয়ের পর যতক্ষণ না বাবার বাড়ির সব সম্পদ তুলে এনে তার হাতে দিচ্ছে ততক্ষণ চলে অমানবিক নির্যাতন। অার অামাদের বাবারা সকল কিছু যেভাবে পারে দিয়ে ম্যানেজ করে কন্যা দান করে বলেই হিন্দু সমাজের বৌরা অনেকটা ভালো থাকে তাদের তুলনায়। এই অাইন হলে যখনই স্বামীর টাকা দরকার হবে বলবে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে অাস। দরকার পরলে ভাইদের নিঃশ্ব করে বাড়ি বিক্রি করে এনে দাও কারণ তাতেও তো তোমার ভাগ অাছে তাই না? এখনো অনেক উন্নত মুসলিম পরিবারের মেয়েরাও অাজ ও বাবার বাড়ি থেকে টাকা না অানতে পারার জন্য বা বাবার না জোগাড় করতে পারার জন্য হয় অাত্মহত্যা করছে নাহলে স্বামীর পরিবারই শেষ  করে দিচ্ছে।  তাই নিজের কপাল পুরার অাইন অামি চাই না।
 
🦕🌺সম্পদ তো তখন পাবো যখন দেশে সম্পদ নিয়ে টিকে থাকতে পারবো। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও জমি দখল ও মন্দির ভাংচুর চলছেই। অামরা জমি পেলেই বা কি করবো। বাপের বাড়ি গিয়ে তো পাহারা দিতে পারবো না তখন বাধ্য হয়ে নিজের ভাইরা না কিনলে অন্য ধর্মের মানুষের কাছে বিক্রি করবো অার তাঁরা সঁুচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হবে এই অারকি।
🌺 যে সম্পদ নিজেদের অস্বস্তি শেষ করে দিবে সেই সম্পদ চাই না। অামিও একজন বাবার মেয়ে অামারও ভাই নেই এই অাইন হলে মোটামুটি কয়েক কোটি টাকার সম্পদ পাবো কিন্তু তবুও এই অাইন চাই না। যারা পৃথিবীতে এনেছে তাদের থেকে বেশি অামাদের নিয়ে চিন্তা কেউ করে না। অামার বাাবার তো ২ মেয়ে তাই অামার বাবা নিজের যত সম্পদ অাছে তা করেছে অামার মার নামে এবং সমানভাগে অামাদের দুই বোনের নামে। অামরা যোগ্য মেয়ে হলে বাবা জীবিত অবস্থায় সম্পত্তি অামাদের না দিয়ে মৃত্যু পর অন্য উত্তরসূরীদের পাওয়ার সুযোগ করে দিবে কেন? 
😪কয়েকদিন ধরে দেখছি হিন্দু মেয়েদের সম্পত্তি পাবার অাইন নিয়ে পক্ষে -বিপক্ষে অনেক কথা, তর্ক ও ঝগড়া হচ্ছে কিন্তু কেন? অামরা সবাই হিন্দু কিন্তু সেই অামরা সবাই অাবার একটা বিষয় নিয়ে নিজেদের  মধ্যে ঝামেলা করছি।
১/ অন্য ধর্মের মানুষেরা নিজের ধর্ম রক্ষার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুুত। কিন্তু অামরা কয়জন প্রস্তুুত? অামাদের হিন্দু মেয়েদের কত সহজেই পারে অন্য ধর্মে কনভার্ট করতে। কি শিক্ষা দেই অামরা যে ২ দিনে একটা লোক সেটাকে মিথ্যা প্রমাণ করে তাদেরকে সত্য বলে জাহির করতে পারে? 
২/ ভালোবাসা না শুধু ধর্মের জন্য হিন্দু মেয়েদের কনভার্ট করা হয় এবং বাচ্চা দিয়ে তাদের রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়। সেই মেয়েগুলোর যাবার জায়গা থাকে না বলে তাদের কথা মত চলতে হয়। এরপর যখন হিন্দু মেয়েদের সম্পত্তি দেওয়া হবে তখন তো অন্য ধর্মের ধার্মিক মানুষগুলো নারী, পূণ্য ও অর্থের জন্য পাগলা কুকুর হয়ে যাবে তখন কিভাবে রক্ষা করবো অামরা নিজেদের মেয়ে ও বোনদের?  
৩/ অন্য ধর্মে সন্তানদের ধর্ম শিক্ষার জন্য ৩ বছর বয়স থেকে শিক্ষক রাখা হয়।  অার অামরা কি শিক্ষা দেই যে  অন্য ধর্মের মানুষের কয়টা প্রশ্নের জবাব দিতে না পেরে  ঐ ধর্মকে সত্যি মেনে তাদের হাত ধরে পালিয়ে যায়? 
৪/ অামাদের বাচ্চারা রক্ত দেখে ভয় পায়। অন্য ধর্মে ছোট বেলা থেকে রক্ত দেখিয়ে সাহস ও বড় বুকের পাটা তৈরি করা হয়। অামরা গীতার শিক্ষাই ভুলে গেছি যে ধর্ম স্থাপনের জন্য স্বয়ং ভগবান শ্রী কৃষ্ণ  কত রক্ত ঝড়িয়ে ছিলেন।  অার এখন অামরা শিখছি যে যা বলুক যত অত্যাচার করুক চুপ করে লেজ গুটিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হবে। না পালিয়ে ও বা উপায় কি অামরা এক হিন্দু বিপদে পড়লে অারেক হিন্দু গিয়ে হয় দরজা বন্ধ করবে নাহলে ঐ শক্তিশালি দলের সাথে জোট বাধবে। কেননা অাপনি বাঁচলে বাপের নাম কিনা।
৫/ অামাদের হিন্দু সমাজে নারীদের যতটা স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে অন্য কোনো ধর্ম তা দেয় নি। অামাদের ধর্মে নারীকে দূর্গা,লক্ষ্মী ও সরস্বতি রূপে পূজা করা হয় অন্য কোনো ধর্মে না। অামরা নরীরা সংসারের জন্য কাজ করি স্বামী সন্তানের সেবা করি নিজের সুখের জন্য। কারণ, তাদের হাসি মুখই অামাদের সুখ।
৬/ নারী এত সম্পত্তির দরকার হলে সেটা অবশ্যই স্বামীর সম্পত্তি পাওয়া জরুরি।  তাহলে স্বামী মারা গেলে স্ত্রীরা সন্তান ও শশুড় বাড়িতে সম্মানের সহিত থাকতে ও বাঁচতে পারবে কারো বোঝা না হয়ে। অার হিন্দু ধর্মে নিজেদের সাবলম্বী হবার পুরো স্বাধীনতা অাছে। নিজেরা সাবলম্বী হয়ে পরিবারের জন্য কিছু করতে পারলে সেটা অারো গর্বের হয়।
৭/  দেশের যেখানে অনাথ অাশ্রম ও মন্দির অাছে সেগুলো টিকিয়ে রাখতে কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয় তা শুধু যাঁরা কাজ করেন তারাই জানেন। 
অামাদের উচিৎ নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি না করে একত্রে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করা। এটা হিন্দুদের অস্তিত্বের লড়াই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *