স্বাস্থ্যবান কিডনি পেশাবের রাস্তায় প্রদাহ হতে দেয় না ।

Uncategorized
স্বাস্থ্যবান কিডনি পেশাবের রাস্তায় প্রদাহ হতে দেয় না ।
(১)
মৃত কিডনিকে জীবিত করতে ঘন চা কার্যকরী ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসি মুখে প্রথম এই চা (চিনি ছাড়া) পান করলে উপকার হয় ।
পানিতে চা পাতা দিয়ে চুলায় দিয়ে সেই পানি অর্ধেক হলে তার সাথে সমান পরিমাণ স্বাভাবিক পানি মিশিয়ে পান করুন ।
(২)
ফুটন্ত ২ গ্লাস পানিতে কিছু ধনিয়া পাতা দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ফোটান ৷ তারপর ছেঁকে ঠান্ডা করে এক চামচ মধু দিয়ে পান করুন ৷ কিডনির সমস্যা চলে যাবে ৷
ধনিয়া পাতা কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং পাথর তৈরিতে বাধা দেয় ৷
(৩)
একটি বীটরুট, ২ টি আপেল, অর্ধেক লেবুর রস এবং অর্ধেক শসা ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করুন ৷ সাথে সাথেই পান করুন ৷ কিডনির সমস্যা চলে যাবে ৷
বীটরুটে আছে B10 নামক একটি উপকারী ফাইটোকেমিক্যাল যার আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুনাবলী এবং যেটা পেশাবের এসিডিটি বৃদ্ধি করে ৷
আপেলে পেক্টিন (Pectin) নামক একটি ফাইবার থাকে যা কিডনির স্বাস্থ্যকে ভালো করে ৷
(৪)
একটা গাজর, অর্ধেক শসা, এক চামচ পেশা আদা ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে সকালে নাস্তায় খান ৷
গাজরে আছে ক্যারোটিন যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং দেহের বিষ বের করতে সাহায্য করে ৷ গাজরের আঁশ বিষগুলিকে বেধে ফেলে এবং তারপরে সহজেই বিষ বের হয়ে যায় দেহ থেকে ৷
***
আমলকিতে আছে ক্রোমিয়াম যা রক্তের গ্লুকোজ কমায় এবং ইন্সুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় ।
ভিটামিন সি আছে আমলকিতে যা টাইপ ২ ডায়বেটিসের রোগীদের কাজে আসবে । ভিটামিন সি সারাদিন ধরেই রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমায় এবং প্রতিবার খাওয়ার পরে রক্তে বেড়ে যাওয়া গ্লুকোজের পরিমাণ কমায় ।
আমলকিতে এন্টিওক্সিডেন্ট আছে যা অক্সিটেটিভ স্ট্রেস (Oxidative Stress) কমায় । অক্সিডেশনের প্রভাব কমানোর মাধ্যমে আমলকি ডায়বেটিস প্রতিরোধ করে ।
ঘুম থেকে ওঠার পরে ১ গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ আমলকীর গুঁড়া এবং এক চিমটি হলুদের গুড়া দিন । এটা শুধু আপনার রক্তের গ্লুকোজ সকাল বেলায় নিয়ন্ত্রণ করবে না, সারা জীবনই করবে ।
করল্লা এবং আমলকির রস ডায়বেটিস সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে । কিডনি এবং লিভারের সমস্যাও প্রতিরোধ করে এই পানীয়টি ।
একটি গ্লাসে ১০ মিলি করল্লার রস এবং ১০ মিলি আমলকির রস মেশান । তারপর এক গ্লাস পানি দিন । সকালে খালি পেটে পান করুন ।
করল্লা যখন পাওয়া যায় না তখন শুধু আম্লকির রসই পান করুন ।
শিশু-কিশোররা সকালে নাস্তা করে স্কুলে যায় । সেখানে ১২ টা বাজলে টিফিন করে । বাসায় এসে ২ : ৩০ মিনিটে আবার খায় । বিকালে নাস্তা করে ৫/৬ টায় । আবার রাতে খায় । এভাবে খেলে ক্যানসার হবেই হবে ।
দুই খাদ্য গ্রহনের মাঝে ৬ – ৮ ঘন্টা সময় থাকলে আমাদের শরীরের অধিকাংশ ক্যান্সারপ্রবণ কোষ মারা যায় ।
আমাদের প্রত্যেকের দেহেই ক্যান্সারপ্রবণ কোষ থাকে । যখন এদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় তখন আমরা অসুস্থ হই ।
একটি ক্যান্সার কোষ একটি সুস্থ কোষ থেকে ২৭ গুন (আনুমানিক) বেশি খাদ্য গ্রহণ করে । লম্বা সময় খাদ্য না পেলে তারা এমনিতেই মারা যায় । কিন্তু সুস্থ কোষগুলি বেঁচে থাকে । টিউমার হলে দুশ্চিন্তা না করে খাওয়া নিয়ন্ত্রনে আনলেও সুস্থতা লাভ করা সম্ভব ।
খালি পেট আর ক্ষুধা এক জিনিস নয় । ক্ষুধা লাগলে আমাদের শক্তি কমে যায় । কিন্তু খালি পেটে থাকা ভাল । আমাদের দেহ এবং মস্তিস্ক সব থেকে ভাল কাজ করে যখন আমাদের পেট খালি থাকে ।
তাই আমাদের সব সময় পেটের একটা অংশ খালি রেখে খেতে হবে । আমরা পেটে খালি জায়গা রেখেই ঘুমাতে যাব ।
৬ সপ্তাহ ৮ ঘন্টা বিরতিতে খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরের অর্ধেক সমস্যা এমনিতেই চলে যাবে ।
Alkaline পরিবেশে cancer হয় না এবং কোনো রোগই থাকতে পারে না তা প্রমাণিত । ভাত, রুটি, চিনি, মাছ, মাংস, ডিম্ acidic খাবার । এবং সবজি, ফলমূল, ডাল alkaline খাবার । সব সময় আমাদের alkaline খাবার বেশি খেতে হবে ।
সব থেকে Alkaline খাবারের ভেতরে আছে শসা, বাঁধাকপি, broccoli, spinach, sprouts, parsley ।
গ্রহণ করা খাদ্যের ৪০ – ৫০ % হতে হবে জীবিত / তাজা । ফল, সবজি (শসা, গাজর, টমেটো ইত্যাদি), ছোলা, বাদাম ইত্যাদি । মৃত খাদ্যকে জীবিত করতে শরীরকে অনেক ধকল পোহাতে হয় । রান্না করা খাদ্য তুলনামূলক কম জীবনী শক্তি দেবেই, যদিও এধরণের খাদ্যের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে ।
রান্নার ফলে খাদ্যের এনজাইম নষ্ট হয়ে যায় । তাজা খাবার খেলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে অ্যালার্ম বেল লাগবে না, সারাদিন চাঙ্গা লাগবে ।
খাবার ২৪ বার চিবিয়ে তারপর গিলবেন । আপনার পাকস্থলী আধা – হজম হওয়া খাবারের জন্য প্রস্তুত থাকে । ভালভাবে চিবিয়ে গিলে খেলে অর্ধেক হজম মুখেই হয়ে যায় । অন্যথায় পাকস্থলীর কাজ বেড়ে যায় । খাদ্য যত বেশি সময় মুখে থাকবে, হজম তত ভালো হবে ।
পৃথিবীর অর্ধেক (৫০%) অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ কোটি জনগণ । তারা কেমন খাদ্য খাচ্ছে এবং কেমন স্বাস্থ্যের অধিকারী তা কি আর বলে দিতে হবে ?
খাওয়ার সময় কোমল পানীয় তো দূরে থাক, পানিই পান করা যাবে না । কোমল পানীয়র চিনি এমন সব এনজাইমের কাজকে থামিয়ে দেয় যা আপনার খাদ্য হজম করায় । তাই পাকস্থলীতে হজম না হয়েই খাবার যায় । পাকস্থলীর কাজ বেড়ে যায় ।
রাসূল (সা) মিষ্টি জাতীয় খাদ্য খাওয়ার শেষে খেতে বলেছেন ।
খাওয়ার সময় পানি পান করলে মুখের এনজাইমের কার্যকারিতা কমে গিয়ে হজমের গতি কমে যায় ।
রান্না করা খাবার রান্নার ১.৫ ঘন্টার ভেতরেই খেতে হবে । কিছু খাবার ৪ ঘন্টা পরও খাওয়া যায় । কিন্তু তারপরে খেলে নাভির নিচে গ্যাস হবে এবং তখন গলা থেকে পরিপাক তন্ত্রের নাভি পর্যন্ত কোনো অংশই ঠিকমতো কাজ করবে না ।
আমাদের দেহের ৭২ % ই পানি । তাই পানির ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকতে হবে । পানির স্তৃতিশক্তি খুবই বেশি । পানির আশেপাশে যা বলা হয় তার ফলে পানির মলিকুলে পরিবর্তন আসে । তুমি যদি পানিকে কিছু বলো পানি তা শুনে মনে রাখে । খারাপ কথা বললে পানি বিষের মতো কাজ করে (পান করলে) ।
পানি ট্যাপে আসার পরে তা সাথে সাথে পান করলে ওই পানির স্মৃতিও তুমি গ্রহণ করছ । পাত্রে অনেক সময় রেখে দেবার পরই কেবল পানি পান করতে হবে ।
বাড়িতে পাইপের মাধ্যমে আসা পানিতে প্রতিটি বাঁকে মলিকুলার (আণবিক) স্ট্রাকটারে (গঠনে) পরিবর্তন আসে । ওই অবস্থায় পান করলে এমনিতেই তা বিষে পরিণত হয় ।
শুধু পানি পানে এই পরিবর্তন আনলেই অর্ধেক রোগ ৬ সপ্তাহের মধ্যেই চলে যাবে । পানি পান করার সময় পানির ভেতরে শ্বাস ফেলতে আমাদের নিষেধ করেছেন রাসূলাল্লাহ (সা) । শ্বাস ছাড়ার সময় আমরা কার্বন ডাইঅক্সাইড ছেড়ে দেই এবং এই কার্বনডাইঅক্সাইড একটি ময়লা । ময়লা মিশ্রিত পানি পান করা আমাদের জন্য খারাপ ।
গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করলে ওজন কমে এবং ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে পান করলে ওজন বাড়ে । মধুর সাথে মানুষের রক্তের মিল অনেক বেশি ।
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে বলা হয় আরথ্রাইটিসের রোগীদের পিয়াজ, রসুন, আলু, টমেটো, মাশরুম খাওয়া উচিত নয় । এগুলি তামসিক খাবার ।
যাদের ডায়বেটিস আছে তারা ভাত, রুটি কম খাবেন এবং এই দুটি খাদ্য খাবার সময় ঘি মিলিয়ে খাবেন । এই দুটি খাদ্যের শর্করাকে সরাসরি চিনিতে পরিণত হওয়ায় বাধা দিয়ে ঘি আপনার অনেক উপকার করবে ।
ডায়বেটিসের রোগীদের আমিষ, চর্বি, সবজি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে ।
আমাদের একবারে বেশি পানি পান করা উচিত না । বারবার অল্প অল্প করে পানি পান করা উচিত । একবারে ২৫০ মিলির বেশি পানি পান করলে শরীরের ক্ষতি হয় । বাড়াবাড়ি না করাটা ধর্মের প্রথম শিক্ষা । মরুভূমিতে থাকলে বা অনেক গরম আবহাওয়াতে থাকলে ব্যতিক্রম হতে পারে ।
মাটির পাত্রে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল । মাটির প্লেটে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে রোগ কমে যাবে । মাটির পাত্রে রান্না করা গেলে সব থেকে ভাল ।
***আদা, রসুন পিশুন (হামানদিস্তা বা শিল-পাটার মাধ্যমে) ৷
পানিতে দিয়ে ফুটান ৷
তারপর ছাকুন, লেবুর রস দিন এবং পান করুন ৷
সন্ধ্যা বেলা যেকোনো সময় পান করুন ৷
শিরা পরিষ্কার করার জন্যে এই ড্রিন্কটি খুবই কার্যকর ৷
রসুন রক্তচাপ কমাতে খুবই কার্যকর ৷
তাছাড়া রসুন শিরাকে শক্ত হতে দেয় না (অ্যাথেরোসক্লেরোসিস) ৷
আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শিরায় প্লাগ হতে দেয় না ৷
লেবুর সাইট্রাস ফ্লাভানয়েড শিরায় প্রতিবন্ধকতা হতে দেয় না ৷
***২০০ মিলি পানিতে এক মুষ্টি তুলসী পাতা দিয়ে দিন । তারপর তালমিছরি দিন কয়েক টুকরা । এরপর ওমাম (জোয়ান) দিন কিছু (চা চামচের ১/৪) । নাড়ুন ।

৩০ মিনিট পরে ১০০ মিলি হয়ে যাবে পানি । ৩ দিন রেখে এই পানিটা পান করুন (গরম করে নেবেন প্রতিবার) ।
ঠান্ডা, কাশি, জ্বর সেরে যাবে । এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ।
সূত্র : যোগী বাসুদেব (সাধগুরু), শ্রী শ্রী রবি শংকর, ডাক্তার বিবেক জোশি, ডক্টর হানসাজি যোগেন্দ্র, ডিরেক্টর, দা ইয়োগা ইনস্টিটিউট, মুম্বাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *