হিন্দুরা কেন গোমাংস খায় না?
গো মাতা কেন সনাতন ধর্মে পূজনীয়? ?
উত্তর:- আমরা হিন্দুরা নানান জায়গায় মানুষের কাছ থেকে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হই, আমরা গরুর দুধ খাই ঠিকই কিন্তু মাংস খাই না কেন? আসুন এবার জানা যাক সনাতন ধর্মে গো মাতা সম্পর্কে কিছু বলা হয়েছে। পবিত্র বেদে সাত ধরণের মাতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ।তারা হলেন:
(১) বেদ মাতা
(২) ধরণী মাতা
(৩) গো মাতা
(৪) রাণী মাতা
(৫) ব্রাহ্মণ মাতা
(৬) গুরুদেবের স্ত্রী মাতা
(৭) নিজের আপন মাতা ।
আমরা কিন্তু আমাদের আপন জন্মধাত্রী মায়ের দুধ পান করতে পারি কিন্তু তাই বলে কি আপন মায়ের মাংস ভক্ষন করতে পারি ? না কখনই পারিনা । শাস্ত্র মতে এই ৭ জন মাতার মধ্যে গো মাতা একজন। তাই আমরা গো মাতার দুধ পান করতে পারি কিন্তু মাংস ভক্ষন করতে পারিনা।
তাছাড়াও গো মাতা পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের অতিব প্রিয় । ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর বাল্যকালের লীলা বিলাস এই গো-মাতাদের সাথে করেছিলেন । পবিত্র বেদে গো মাতা হত্যা ও গোমাংস ভক্ষন করা আমাদের ধর্মে সম্পুর্ন ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গো মাতাকে হত্যা নয় রক্ষা করাই আমাদের ধর্ম।
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন “যে ব্যক্তি গোমাংস ভক্ষণ এবং যে ব্যক্তি ঘাতককে গোহত্যার অনুমতি দেয়, তাদের সকলকেই সেই নিহত গরুর লোম পরিমিত বৎসরকাল নরকে নিমগ্ন থাকতে হয়”।
গো মাংস ভক্ষন এবং হত্যার নিষিদ্ধতার কিছু শাস্রিয় রেফারেন্স নিম্নরুপঃ-
—————————-
গোমাতা ও গোপুত্রদের রক্ষা করতে হবে , হত্যা নিষিদ্ধ।
(যজুর্বেদ ১৩.৪৯)
গোমাতা অর্ঘরুপী তাই। যেকোন কারণে হোক না কেনো হত্যা করা যাবে না, তাদের জল, সবুজ গো গ্রাস দিয়ে তাদের সমৃদ্ধ করতে হবে। যাতে জ্ঞান, অর্থ, কাম, মোক্ষ লাভ হয়। অর্ঘ্যনা, অহি, অদিতি তিন রুপী গোবংশ হত্যা নিষিদ্ধ।
(ঋগ্বেদ ১.১৬৪.৪০)
(অথর্ববেদ ৭.৭৩.১১)
(অথর্ববেদ ৯.১০.২০)
গোমাতা কে হত্যা করবে না বা টুকরো টুকরো করে কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। গোমাতা নির্দোষ ও অদিতি প্রাণী।
(ঋগ্বেদ ৮.১০১.১৫)
অর্ঘ্ন হিসেবে গোমাতা ভালোবাসো, হত্যার পাপ হতে বিরত থাকো, তার বাছুর গুলোকে আদর করো।
(অথর্ববেদ ৩.৩০.১)
জয় শ্রী কৃৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ।।
হরহর মহাদব।।
হরহর মহাকাল।।
শুভ রাত্রি