হিন্দু আইন পরিবর্তনের ফলাফল:

Uncategorized
#হিন্দু_সাবধান
হিন্দু আইন পরিবর্তনের ফলাফল:
১. আপনার মেয়ে আপনার মুখে চুনকালি মেরে এক বিধর্মীর হাত ধরে চলে যাবে, তারপর আপনার নিকট আসবে তার সম্পত্তির ভাগ চাইতে।
২. আপনার ছেলে যদি তার বোনের সম্পত্তির অংশ (প্রকারান্তে তার নিজের পিতার সম্পত্তি) কিনে রাখতে অসমর্থ হয়, দু’দিন পর আপনার মেয়ে তার ভাগ এক বিধর্মী কাছে বিক্রি করে দিবে। কয়েকদিন পর আপনার ছেলেরও আপনার ঘরে বসবাস শেষ! 
৩. অসংখ্য ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে টান পড়বেই। অসংখ্য ছেলেমেয়ের থাকবেনা দাদু বাড়ি (মামাবাড়ি)।
৪. সম্পত্তির লোভ আপনার মেয়ের না থাকলেও জামাই বা তার পরিবারের লোকদের থাকতে পারে। ফলে জামাই বাড়িতে আপনার মেয়ের নির্যাতনের নতুন প্ল্যাটফরম তৈরি হবে। 
৫. সাংসারিক অপ্রাকৃত ভালোবাসা কমে যাবে। কারণ আপনার জামাই আপনার মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করবে না, বিয়ে করবে আপনার সম্পত্তি।
৬. অন্যান্য ধর্মের মতো ডিভোর্স বেড়ে যাবে (অবশ্য অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা এটাই চাচ্ছে, কারণ আমাদের পারিবারিক বন্ধন তাদের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে)। কারণ স্বামী স্ত্রী মাঝে একটু কলহ হলেই বাপের সম্পত্তির জোরে স্ত্রী একটা খারাপ সিদ্ধান্ত নিতে দু’বার ভাববেন না। 
৭. আপনার সম্পত্তির লোভে আপনার বিবাহিত মেয়ের পিছনেও অনেক ভূত প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াবে এবং তাকে ফুসলিয়ে খারাপ চিন্তায় বাধ্য করবেই। 
৮. আপনার জায়গার পরিমাণ কম হলে আপনার ছেলে তার বোনকে ভাগ দিয়ে দেখা যাবে নিজের অংশে একটা ঘর তুলতে পারছেনা, কারণ জায়গা অনেক কম (শহর এলাকায় এটি হবে)। অপরদিকে, আপনার লোভী মেয়েটা তার অংশটুকু পাশের এক বিধর্মীর কাছে বিক্রি করে দিয়ে চলে গেল। আপনার ভিটায় লালবাতি। 
৯. সম্পত্তির লোভে কিছু অকর্মা ছেলে আপনার ভোলা ভালা মেয়েটার পিছনে লাইন মেরে তাকে ভাগিয়ে বিয়ে করে ঘর জামাই থাকবে, এতে অবশ্য অকর্মার অন্নসংস্থান হবে। কিন্তু হারবেন আপনি।
১০. হিন্দু অনাথ শিশুতে ভরে উঠবে সনাতনী সমাজ। কারণ মেয়েদের সম্পত্তি ভাগিয়ে অনেক স্বামীই নতুন রমণী নিয়ে আসবেন, অন্যদিকে ওই নারী সম্পত্তি নিয়ে ইতোমধ্যে বাপের বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেছেন। ফলে তার আর মাথা ঠেকানো জায়গায় থাকবেনা। ফলশ্রুতিতে তাকে হয় মরতে হবে, নতুবা রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হবে। এই একটি কারণেই কলকাতায় তৈরি হয়েছে সোনাগাছি! কিন্তু আমাদের দেশে দেখুন, আজও অসংখ্য বিধবা নারী বাপের বাড়িতে ভাইয়ের পরিবারে সম্মানের সহিত আছেন। ঢাকার শহরে রাস্তায় দেখুন তো কয়টা হিন্দু ছিন্নমূল শিশু আছে, পতিতালয়ে কয়টা হিন্দু নারী আছেন!
হিন্দু সাবধান!!!
(সর্বোপরি, আগে হিন্দু আইন সম্পর্কে জানুন, তারপর পরিবর্তনের কথা বলুন। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, শাস্ত্রে উল্লেখিত হিন্দু আইনে নারীদের যতটা সম্পত্তি প্রাপ্তির অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে, তা অন্য কোন ধর্মে তা করা হয়নি। শাস্ত্রে কিছু বিধিবিধানের মাধ্যমে মেয়েদের স্বামীর পূর্ণ সম্পত্তির অধিকার দেয়া হয়েছে। আমাদের পবিত্র শাস্ত্রমতে একজন মেয়ে তার গোত্র পরিবর্তন করে নতুন পিতৃগৃহে গমন করে, তেমনি তার পিতৃগৃহেও তার পিতা পুত্রের বিয়ে দিয়ে নতুন কন্যাকে নিয়ে আসেন। পিতার সম্পত্তি তো তার সন্তানেরই।
তাই ঈশ্বরের নিকট হতে মুনি ঋষিদের দ্বারা প্রাপ্ত আইনে হাত দেয়ার সাহস করো নেই। নমস্কার🙏🙏🙏)
বিধর্মীরা তাদের এজেন্টদের দ্বারা হিন্দুদের বিশ্বাস ও আদর্শ ধ্বংসের যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, তা আমাদের রুখতেই হবে। নতুবা ধর্মরাজ আমাদের ক্ষমা করবেন না, অর্থাৎ অচিরেই আমরা মহাকালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবো। হিন্দু সাবধান!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *