হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে মেয়েরা সম্পত্তি পেলে তা লাভ জিহাদের মাধ্যমে মুছলিমদের হাতে যাবার চান্স

Uncategorized
হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে মেয়েরা সম্পত্তি পেলে তা লাভ জিহাদের মাধ্যমে মুছলিমদের হাতে যাবার চান্স থাকে। এটা হিন্দু পুরুষ এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই সত্য। তবে পরিসংখ্যন বলে, হিন্দু মেয়েরাই বেশি ধর্মান্তর হয়েছে। কিন্তু আইনের কাছে এসব কথার কোনো মুল্য নেই।
আবার খসড়া আইনে যদি এমন ক্লজ রাখেন যে- ধর্মান্তর হলে ঐ ব্যক্তি পিতার সম্পত্তি পাবে না। সেটা চুড়ান্ত আইনে থাকবে না। আইন পাস হয়ে গেলে হাইকোর্টে রিট হবে, সেখানে এই অংশটুকু সংবিধান বিরোধি হিসাবে পরিগণিত হবে, ফলে এই অংশটুকু বাদ হয়ে যাবে, আইনের বাকী অংশ বলবৎ থাকবে।
ইতিহাসের পরম্পরাগুলো জানা খুব জরুরি।  আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে যখন ডিজিটাল আইন আসে তখন সবাই সাধু সাধু রব তুলেছিলো কিন্তু সেটা কাদের উপর প্রয়োগ হচ্ছে? ঝুমন দাসের উপর। ব্রাক্ষণবাড়িয়া কেসের কি খবর?? যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান প্রযুক্তি সহ কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিন্দু ছাত্রদের এই আইনে ধরে রেখে দেয়া হয়েছে বিনা বিচারে। ওদিকে আনভীর সাব শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের মাথা হয়ে বসে আছে, নির্বাচন করেন, জনসম্মুখে ভাষন দেন, সাংবাদিক দের ইন্টারভ্যু দেন। সেই আম্লিগ সরকার যেচে এসে হিন্দু মেয়েদের ক্ষমতায়ন করছে – এটা বিশ্বাস হয়??? বিড়াল বলছে মাছ খাবে না!!!!!!!!!!!!! অর্পিত সম্পত্তি আইনে একটি কেসও কি সমাধান হয়েছে??  দেবোত্তর সম্পত্তি গুলো কারা দখল করে আছে?? কেনো?? আপনার এলাকায় আশে পাশে একটু দেখুন শ্মশান মন্দিরের জায়গাগুলো কে কারা দখল করে আছে???
এই ইস্যুটা দিয়ে সরকার সনাতন সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে। বর্তমান আম্লিগ সরকারের আমলে যে পরিমান সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে তা বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর সর্বোচ্চ। এটা নিয়ে দেশ বিদেশে কথা উঠছে। আম্লিগ সরকার তাই চাইছে ইস্যুটাকে ঘুরিয়ে দিয়ে সনাতন কম্যুনিটির মধ্যে আত্মকলহ লাগাতে। আগে মুসলিমদের দিয়ে হিন্দুদের নির্যাতন করা হতো, এবার তার সাথে যুক্ত হলো হিন্দুদের দিয়ে হিন্দুদের শায়েস্তা করার খেলা। বিশেষ করে হিন্দু নারীদের টার্গেট করা হয়েছে। তাদেরকে ক্ষেপানো হচ্ছে। সেই ডিভাইড এন্ড রুল খেলা।
সেইখানে আমি বা আমার মতো মানুষরা চাইছে এই খেলা বন্ধ হোক। সরকারের যদি সত্যি সদিচ্ছা থাকে তাহলে নারী-পুরুষ-তৃতীয় লিংগ-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সন্তান সমানভাবে সম্পত্তি পাক সেই ব্যবস্থা করুক। একটা ইউনিফর্ম সিভিল কোড করুক। এটা নিয়ে অনেক সিনিয়র আইনজ্ঞরা অনেকদিন ধরেই সরকারকে বলছে। সরকার কিন্তু সেটা শুনছে না। কেননা মোল্লাদের সরকার ভয় পায়। সরকার সেটা করতেও চায় না। এখানে বাশটা হিন্দুদের দেবার চেষ্টা করছে। এবং সেটা হলে সাংবিধানিকভাবে এক দেশ দুই আইনের শাসন চলবে।
স্মরণকালের ভয়াবহ হিন্দু নির্যাতন হয়েছে এই আম্লিগের আমলে। হিন্দুদের অধিকার, জান-মাল রক্ষায় আম্লিগ কি কখনো হিন্দুদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে? এমনকি কোনো সুবিচার দিতে পেরেছে??
তারা মোল্লা তোষন করেই যাচ্ছে। আম্লিগ নেতার মেয়ে বিয়ে দিচ্ছে জামাত নেতার ছেলের সাথে। তারা তলে তলে এক। আর আমরা রাজনীতিতে, সংগঠনে, গুরুবাদে  শুধু বিভক্তি করছি।  আপনাকে বলছে রাজাকার জামায়াতের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে কিন্তু আপনি যখন আক্রান্ত তখন আম্লিগ কিংবা সরকার আপনার পাশে এসে দাড়াচ্ছে কি?? আপনাকে হামলা করার সাহস কিভাবে পায়?? কারণ তলে তলে তারা এক। হিন্দুরা খারাপ কিন্তু তাদের সম্পত্তি, তাদের মেয়েরা ভালো। হিন্দুরা হারাম কিন্তু তাদের সম্পত্তি, মেয়েরা হালাল। এগুলো হাসিল করার জন্য আম্লিগরা জামায়াতের চেয়েও হিংস্র।
হিন্দুদের জন্য আলাদা কোনো পারিবারিক আইন করা যাবে না। সমস্ত নাগরিকদের জন্য একটি ইউনিফর্ম ফ্যামিলি কোড হতে হবে। অর্থাৎ নারী, পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ, হিন্দু, মুসলিম নির্বিশেষে সবার জন্য একই আইন হতে হবে। বিয়ে রেজিষ্ট্রি হবার সময় ধর্ম দেখা হবে না, কোনো মোহরানা থাকবে না। শুধুমাত্র উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক কিনা দেখবে, আর আগে কারো বিবাহ হয়েছে কি না সেটা দেখা হবে। আর আগে কারো বিবাহ হয়ে থাকলে সেটা যথাযথভাবে সেপারেশন/ তালাক হয়েছে কি না তা দেখতে হবে। কোনো নারী-পুরুষ একই সময়ে দুই স্বামী/ স্ত্রী রাখতে পারবে না। সম্পত্তির ক্ষেত্রেও নারী, পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ, হিন্দু, মুসলিম নির্বিশেষে সবাই পিতা-মাতার সম্পত্তির সমান ভাগ পাবে। 
এবার আসুন – যদি একজন মুসলিম মেয়ে পিতা-মাতার সম্পত্তি থেকে সমান সম্পত্তি পায় এবং হিন্দু পুরুষকে আইনত বিবাহ করতে পারে, আমি নিশ্চিত মুসলিম মেয়েরা দলে দলে হিন্দু পুরুষদের বিবাহ করবে। আমাদের শুধু তাদেরকে আত্মীকরন করতে হবে। 
আর যেসব হিন্দু মেয়েরা মুসলিম পুরুষদের খপ্পরে পড়বে তারা দুদিন পর ঠিক ফিরে আসবে। 
অতএব আমাদের শুধু আওয়াজ তুলতে হবে হিন্দুদের জন্য আলাদা পারিবারিক আইন নয় বরং সমস্ত নাগরিকদের জন্য একটি একক ফ্যামেলি ল হতে হবে। 
যদি মুসলিম মোল্লারা এতে রাজী হয় তাহলে নিশ্চিত থাকেন সনাতনীরা সবচেয়ে লাভবান হবে। 
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এই খসড়া কোনো সনাতন সংগঠনের থেকে কোনোরূপ সুপারিশ নেয়া হয় নাই। সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্র কিংবা রীতিকে পাস কাটিয়ে আইন তৈরি করছেন। তাহলে একই কাজ কেন মুসলিম ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে না??
এছাড়া কেও যদি মনে করেন পুত্র-কন্যাদের সম্পত্তির সমান অধিকার দিতে ইচ্ছুক, নিজেরা special marriage act এ বিয়ে করুন। 
ঢাকাতে এই বিয়ের রেজিষ্ট্রার কবিতা রায়ঃ +880 1782-665451
নিজেদের মধ্যে ঐক্য রাখুন। আম্লিগ সরকারের এই নোংরা খেলায় পা দেবেন না। 
আপাতত কমেন্ট অফ রাখলাম। অনেকের কমেন্ট পড়ে অসুস্থ বোধ করছি। ব্লগের জীবনে জামাতীদের এমন ত্যানা প্যাচানো যুক্তি দেখেছি। এখানে সমস্যা একমুখী নয়। আমরা এই মুহুর্তে বহুমুখী বিভাজনের মধ্যে আছি। 
আপনারা এই বিষয়ে খোঁজ খবর রাখেন, জানার চেষ্টা করেন। সপ্তাহখানিক পর আবার কমেন্ট অন করবো। তখন আবার আলোচনা হতে পারে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *