হিন্দু সম্পত্তি উত্তরাধিকার আইন

Uncategorized
গতকাল দেখালাম “হিন্দু সম্পত্তি উত্তরাধিকার” আইন পরিবর্তন ও ইত্যাদি বিষয়ে একটি ভার্চুয়াল মিটিং হয়,মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইন কমিশন চেয়ারম্যানের নিকট একটি খসড়ার মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে।।
ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য,হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ,সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য,আওয়ামী লীগ সাংসদ আরমা দত্তসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সাংগঠনিক ও বিশিষ্টজনরা।।
এখন বিষয় হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা সমাজের অর্ধেক অংশ সেই অংশ সয়সম্প্রত্তির অধিকার বা সামাজিক ভাবে বঞ্চিত হোক সেটা কারুর কাম্য নয়,কারণ সমাজের অর্ধেক অংশকে অধিকার বঞ্চিত করে সমাজ উপকৃত হতে পারে না…
কিন্তুু আমার প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায় হিন্দু পুরুষেরাই আজ পৈত্রিক সম্পত্তি ধরে রাখতে হিমসিম খাচ্ছে বা বেদখল হয়ে যাচ্ছে অনেকের সয়সম্প্রত্তির সেখানে নারীরা কি করে রক্ষা করবেন পৈত্রিক সম্পত্তি??এটা আমার কথা নয় বিভিন্ন পত্র পত্রিকার রিপোর্ট বলেছেন।।
তাছাড়াও হিন্দু নারীরা পৈত্রিক সম্পত্তি বঞ্চিত হচ্ছে বলে সমাজে তাদের মুল্য নেই এমনটা ভাবা ঠিক নয়,কারণ সনাতন সম্প্রদায় একমাত্র জাতি যারা নারী শক্তিকে সম্মান ও পূজা অর্চনা করে থাকেন।।
হ্যাঁ এটা সত্যি যে অনেক পরিবারে পুত্র সন্তান নেই সেই পরিবারের মেয়েরা হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে বাবা মায়ের সয়সম্প্রত্তির অধিকার থেকে নানা রকম বাঁধা বিপত্তি ঘটে কিন্তুু আমি বলবো সেই বিপত্তির কারণ ওই পরিবার কর্তাদের কারণ ওনি সময়ের থাকতে তিনি নিজের মেয়েদের সম্প্রত্তি উইল বা হস্তান্তর করেনি কাজেই সময়ের কাজ সময়ে না করতে পারে তার নিজের মেয়েদের বিরম্বনা ফেলে গেছেন।।
কিন্তুু এমন সংখ্যা খুবই অল্প, কাজেই অল্পসংখ্যক লোকের ভুলের জন্য আইন পরিবর্তন করতে হবে এমন দাবি সর্ম্পূন অযৌক্তিক।।
অযৌক্তিক বা অপ্রয়োজনীয় যাই হোক যেহেতু নারীরা আমাদের সমাজে অর্ধেক অংশ এবং জাতির মেরুদন্ড তাই তাদের সমঅধিকার নিশ্চিত করা হোক তবে তার আগে যেটা দরকার সেটা হলো :সুরক্ষা: যা নিয়ে আজকের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তন নিয়ে সোচ্চার সেই বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে খুব একটা আলোচনা করতে দেখা যায় নি!!
দেশে প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর বা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন নির্যাতিত নিপীড়িত  হয়ে কেউ কেউ ভিটেছাড়া  হচ্ছে তাদের খোঁজ খবর বা তাদের সহায়তা করতে দেখা যায়নি আজকের উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের।।
তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম যে নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ালে তারা তাদের জায়গা ধরে রাখতে পারবেন না কিন্তুু তারা তো এটা পারবেন যে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের জন্য যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়নে সরকারের কাছে তারা দাবি করেছেন বা এই নিয়ে কোন ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন।।
না এগুলো নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই কারণ তারা যদি নিজেরা নির্যাতিত নিপীড়িত হতেন তাহলে বুঝতে পারতেন জন্মস্থান ত্যাগ করা কতটা যন্ত্রণাদায়ক।।কিন্তুু তারা কি করে বুঝবেন বাইরের হাওয়া বাতাস কেমন তারা তো থাকতেন এসি রুমে।।
কাজেই হিন্দু উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তনের বিশিষ্ট তারা ব্যক্তিবর্গের এতটুকুই বলবো যে হিন্দুরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির অর্ধেকের বেশী সম্পত্তি দিবে কিন্তুু তার আগে হিন্দু জাতির সুরক্ষার্তে….
১।বাংলাদেশে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করতে হবে।।
২।সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করতে  হবে।।
৩।সংসদে নারী কোটার মতো সংখ্যালঘুদের জন্য ৬০ আসন থাকতে হবে।।
৪।সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ধর্মান্তরিতদের বিরুদ্ধে আইন পাস করতে হবে।।
ইত্যাদি বিষয়ে যদি আপনারা অগ্রসরমান হতে পারেন তবেই হিন্দুরা মা বোনদের পৈত্রিক সম্পত্তি দিতে বাধ্য থাকিবে নচেৎ হিন্দু উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তনের করিলে কেউ মেনে নেবে না প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে হিন্দু সমাজ ও সংস্কৃতি রক্ষার্থে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *