হিরো আলম সবসময় বলেন, আমি অমুককে চিনি; তমুকের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব আছে। এসব গল্প নিয়মিত শুনে ডা মাহফুজুর রহমান বিরক্ত হয়ে যান। ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করেন, হলিউডের হিরো টম হ্যাংকস-এর সঙ্গে পরিচয় আছে!
হিরো আলম উত্তর দেন, নিশ্চয়ই। আমাদের খুব গভীর সম্পর্ক।
পরীক্ষা করার জন্য ডা মাহফুজ হিরো আলমকে নিয়ে হলিউডে যান। টম হ্যাংকসের সঙ্গে দেখা হতেই উনি উল্লসিত হয়ে পড়েন, আরে হিরো আলম যে; চলুন ভাই একসঙ্গে একটু কফি খাই।
ডা মাহফুজ বিস্মিত হন। কিন্তু আরো একটু বাজিয়ে দেখতে চান হিরো আলমকে। তাই জিজ্ঞেস করেন, টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে পরিচয় আছে!
হিরো আলম সহাস্যে বলেন, তা থাকবে না কেন!
ডা মাহফুজ এবার হিরো আলমকে নিয়ে লন্ডনে যান। টনি ব্লেয়ারের বাসার বেল বাজাতেই উনি বেরিয়ে বলেন, হিরো যে; কতদিন পরে দেখা। আজ কিন্তু লাঞ্চ না করে যেতে পারবেন না।
ডা মাহফুজ এরপর টনি ব্লেয়ারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিরস বদনে হিরো আলমকে জিজ্ঞেস করেন, পোপের সঙ্গে পরিচয় আছে!
হিরো বলেন, তা থাকবে না কেন; উনি কতবার আমাকে ভ্যাটিক্যান সিটিতে যেতে দাওয়াত দিয়েছেন।
ডা মাহফুজ বলেন, চলো তাহলে এবার ভ্যাটিক্যান সিটিতেই যাই।
সেখানে পৌঁছে হিরো আলম বলেন, মাহফুজ স্যার, এই ভীড়ের মধ্যে দেখে পোপ তো আমাকে না-ও চিনতে পারেন। আমি বরং ওপরে যাই। উনি যখন ব্যালকনিতে আসবেন দেখা দিতে; আমি তাঁর পাশে দাঁড়াবো। আমি এখানেই থাকুন।
হিরো আলম ওপরে গিয়ে পোপের সঙ্গে দেখা করে; ব্যালকনিতে জনতার প্রতি তার হাত নাড়ার সঙ্গী হন। পরে নেমে এসে দেখেন ডা মাহফুজ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। জ্ঞান ফিরলে তিনি বলেন, ভাইরে এ এ এ, তুমি যখন পোপের পাশে দাঁড়াইলা; তখন এক চাইনিজ ব্যাটা আমারে জিগাইলো, আচ্ছা হিরো আলমের পাশে দাঁড়ানো ঐ সাদা পোশাক পরা লোকটা কে?
মাকসওয়াথ হাসান