ধর্মান্ধদের বহুল উচ্চারিত একটি কথা হলো- হেযবুত তওহীদের এমামের তো চেহারা দেখলেই বোঝা যায় উনি আলেম না।
তো, যার চেহারা দেখলেই বোঝা যায় আলেম নয়, সেই ব্যক্তির কাছে কেন হাজার হাজার মানুষ ইসলাম শিখতে যায় সেটা তাদের ব্যাপক গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নিয়ে যখন তারা ব্যাপক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন দেখা যাচ্ছে- হাজার হাজার মানুষ হেযবুত তওহীদের এমামের কাছে কেবল যাচ্ছেই না, বরং তার বক্তব্য শোনার পর অভিভূত হয়ে যাচ্ছে। তাকেই ইমাম বলে মেনে নিচ্ছে।
কেন ইমাম বলে মেনে নিচ্ছে সেটাও ধর্মান্ধদের আরেক গবেষণার বিষয়। এই গবেষণা সবে শুরু করতেই তারা দেখতে পাচ্ছে আরেক বিস্ময়কর ঘটনা। হাজার হাজার মানুষ জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমকে ইমাম বলে তো মানছেই, উপরন্তু তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে যে, তার মাধ্যমেই সারা পৃথিবীতে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা উদ্ভাসিত হবে। এতদিন এই ধর্মান্ধ নেতারা জনগণকে টুপি দেখিয়ে, দাড়ি দেখিয়ে, জোব্বা দেখিয়ে আর আরবির মাখরাজ শুনিয়ে ভুলিয়ে রাখত। জনগণ মনে করত- একদিন তাদের ধর্মীয় নেতারাই টুপি দাড়ির গুণে ও আরবি ফারসির জ্ঞানে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে। এখন জনগণ বুঝতে পারছে বিশ্বনবী ও তাঁর সাহাবীরা টুপি দাড়ি মাখরাজ দিয়ে সমাজ পরিবর্তন করেননি, করা সম্ভবও নয়। তারা সমাজ পরিবর্তন করেছিলেন জীবন ও সম্পদকে জাতির কল্যাণে উৎসর্গের মধ্য দিয়ে। মো’মেন হবার মধ্য দিয়ে। সেই মো’মেন হবার রাস্তা যিনি দেখাতে পারবেন তিনিই হবেন জনগণের পরম বন্ধু। সেই মানুষের দাড়ি কতখানি লম্বা, টুপির সাইজ কেমন, কিংবা জোব্বা পরিধান করেছে নাকি শার্ট প্যান্ট পরিধান করেছে সেটা জনগণ দেখবে না।
ছবি: গতকাল রাজধানীর তেজগাঁয়ে আয়োজিত হেযবুত তওহীদের আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী অতিথিদের একাংশ।