১৯৪৬ সালের তৎকালীন বাংলার ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে কেন একজনও মুসলমান শিক্ষার্থী নেই? এই প্রশ্ন করা যেতেই পারে।
এই তালিকায় মুসলমান শিক্ষার্থী না থাকাটাকে অস্বাভাবিক কিংবা এটা ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র কিংবা অন্যকিছু বলে মনে হওয়াটা আমার উত্তর নয়।
বরং খুব সহজদৃষ্টিতে দেখলেও বোঝা যায় এর পিছনে মুসলমানদের নিজেদের কর্মই দায়ী।
যারা এই ২০২১ সালে এসেও ইংরেজি( খ্রিষ্টীয়) নতুন বছর পালনকে হারাম মনে করে তারা ১৯৪৬ সালে ইংরেজদের প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এটা ভেবে নেয়া অসম্ভব।
এই তালিকায় একজনও মুসলমান নেই, বরং থাকাটাই অস্বাভাবিক হতো!
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে যখন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, হিন্দু কলেজ, সংস্কৃত কলেজ, বেথুন কলেজে হিন্দু শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে যাচ্ছে। ইয়ং বেঙ্গল গঠিত হয়ে বেঙ্গল রেনেসাঁর সূত্রপাত হচ্ছে তখনও মুসলিমরা তাকিয়ে থেকেছে ভারতবর্ষে আফগান বা তুর্কি বীরদের আগমনের আশায়!
তারা ভাবতো সেই তুর্কি বীররা তলোয়ার হাতে এসে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত করে সুলতানী, নবাবী শাসন আবার চালু করবে! সেই শাসন চালু হলে
ফার্সি, আরবির প্রচলন হবে আবার রাজকার্জে। তখন রাজ্যের বড় বড় পদে বসতে পারবে আরবি, ফার্সি জানা
মওলানারা!
এই স্বপ্ন দেখতে দেখতে কখন যে দুইশ বছর পেরিয়ে গেছে
মুসলিমরা তা বুঝতেও পারেনি।
স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পর বাস্তবতার সাথে যে অমিল হবে এটাই স্বাভাবিক।