৯০ বছরেও সমাধান মেলেনি যে গাণিতিক ধাঁধাঁর, তার সমাধান করেছেন এই ভারতীয় যুবক।

Uncategorized

৯০ বছরেও সমাধান মেলেনি যে গাণিতিক ধাঁধাঁর, তার সমাধান করেছেন এই ভারতীয় যুবক।

কিন্তু কী এই রামসে নাম্বার বা রামসে সংখ্যা?

এই বিশেষ সংখ্যার সংশ্লেষ এবং সংমিশ্রণের মাধ্যমে যে কোনো গ্রাফের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট ধরণের কাঠামোর উপস্থিতি নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারণ করা যায় তার পরিসরকেও। কিন্তু রামসে সংখ্যার ঊর্ধ্ব এবং নিম্ন সীমা ঠিক কত, তা জানা ছিল না এতোদিন। ১৯৩০-এর দশকে বিজ্ঞানীপল এরদোস এবং জর্জ সেকেকেরেস শুরু করেছিলেন এই গবেষণা। তবে সমাধান বার করতে পারেননি তাঁরা। পরবর্তীকালে আরও অনেক তাবড় বিজ্ঞানীরাও হাত লাগিয়েছিলেন এই সমস্যায়। প্রতিবারই অসম্পূর্ণ থেকে গেছে অনুসন্ধান। এই গাণিতিক সমস্যাকে বিংশ শতকের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং ধাঁধাঁ হিসাবেই অভিহিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।

এই গাণিতিক কোডটির সমাধানের মাধ্যমে প্রযুক্তিবিদ্যার বিকাশের পথ আরো সুগম হয়েছে।রামসে সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে কম্বিনেটরিক্সের সমাধান দিলেন ২১ বর্ষীয় অশ্বিন শাহ।

অশ্বিন শাহের গাণিতিক প্রমাণের মাধ্যমে দ্বি-বর্ণের রামসে সংখ্যার ঊর্ধ্বসীমার পুঙ্খানুপুঙ্খ সমাধান নির্ণয় সম্ভব হয়েছে। অশ্বিনের গবেষণা প্রমাণ করে কোনো একটি গ্রাফ নির্দিষ্ট আকার ধারণ করলে, তার আনুমানিক ক্ষেত্রবিস্তার একটি নির্দিষ্ট চক্রের আকারে আবর্তিত হয়। সম্প্রতি এই গবেষণার কথা প্রকাশিত হয় ‘কোয়ান্টাম’ বিজ্ঞান পত্রিকায়।

তবে এটাই প্রথমবারের জন্য চমক নয়। এর আগে মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক গণিত অলম্পিয়াড হংকংয়ে স্বর্ণপদক ছিনিয়ে এনেছিলেন অশ্বিন। ১৭ বছর বয়সে ভর্তি হয়েছিলেন খ্যাতনামা মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমআইটিতে। মাত্র আড়াই বছরের মধ্যেই স্নাতক সম্পূর্ণ করেন তিনি। সেইসময় আরও বেশ কিছু জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান খুঁজে বার করেছিলেন তিনি।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষক ডেভিড কনলন কোয়ান্টাম পত্রিকায় উল্লেখ করেন, স্নাতকোত্তরের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও একজন শিক্ষক হিসাবে বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর যোগ্যতা রয়েছে অশ্বিনের। তবে নিজের সাফল্য নিয়ে খুব বেশি ভাবিত নন তিনি। বরং প্রত্যাশা, আগামীতে আরও নতুন কিছু করে দেখানোর…

#সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *